খোদ পৌর ক্লিনিক থেকে ফেরত যাচ্ছেন রোগী।

নদীয়া, নিজস্ব সংবাদদাতা:- নদীয়ার শান্তিপুর শহরের বিভিন্ন ওয়ার্ডে একের পর এক স্বাস্থ্য কেন্দ্রের উদ্বোধন হাসপাতালের উন্নয়ন হলেও ব্রাত্য খোদ পৌর ক্লিনিক। রোগীদের পরিবারের পক্ষ থেকে জানানো হচ্ছে, বিগত দু-তিন মাস যাবত নাকি এভাবেই এসে তারা ফেরত যাচ্ছেন। অথচ পৌরসভার উদ্যোগে এখানে বিভিন্ন বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের তুলনায় বেশ খানিকটা কমে এক্সরে করার সুবিধা ছিলো। সূত্রের খবর অনুযায়ী জানা যায় মূলত নিয়মিত মেনটেনেন্স এর অভাবেই নাকি বিকল এক্সরে যন্ত্রটি।
রোগীর পরিবার তো বটেই যাত্রীবাহী বিভিন্ন টোটো চালকরাও জানাচ্ছেন, মেশিন বিকেলের কারণে কোন নোটিশ তারা দেখতে পাননি ,রোগীর পরিবার খরচ করে এবং তাদের মূল্যবান সময় ব্যয় করে বারে বারে এসে ঘুরে যাচ্ছেন। কর্তৃপক্ষকে জানিয়েও কোন সুরাহা মেলেনি।
ভারতীয় জনতা পার্টির পক্ষ থেকে অবশ্য তীব্র ক্ষপ প্রকাশ করে বলা হয়, ঝাঁ চকচকে ভবন নির্মাণ এবং শিলান্যাস কিংবা রংচং এভাবেই চলছে সরকার। প্রতিটি দপ্তরে এভাবে মানুষ পরিষেবা থেকে বঞ্চিত। সার্বিক মানুষের কথা ভেবে মাত্র ৬০ হাজার টাকার মেশিন সারানোর খরচ ব্যয় না করে অতিথি নিবাস রং হচ্ছে দেড় লক্ষ টাকা দিয়ে। মানুষ সমস্তটাই জানে তবে শাসকের ভয়ে মুখ খোলে না উপযুক্ত সময়ে যোগ্য জবাব দেবে।
যদিও গতকাল একটি বেসরকারি উদ্যোগে স্বাস্থ্য পরিষেবা কেন্দ্রের উদ্বোধনে এসে এ বিষয়ে শান্তিপুর পৌরসভার চেয়ারম্যান সুব্রত ঘোষ জানান, উন্নত প্রযুক্তির অত্যাধুনিক একটি মেশিন এর মধ্যেই চালু হতে চলেছে তবে পুরনো মেশিনটিও সারানোর ব্যবস্থা করা হবে অতি শীঘ্রই।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *