বাঁকুড়া জেলা বই মেলার শুভ উদ্বোধন করলেন বিশিষ্ট সাহিত্যিক নলিনী বেরা।

আবদুল হাই, বাঁকুড়াঃ- শুরু হলো ৩৯ তম বাঁকুড়া জেলা বইমেলা। চলবে ৮ জানুয়ারি পর্যন্ত। এই দিন বই মেলার শুভ উদ্বোধন করেন বিশিষ্ট সাহিত্যিক নলিনী বেরা। বাঁকুড়া জেলার আবেগের এই ৩৯ তম বইমেলা উৎসর্গ করা হয়েছে প্রাচীন পূঁথি অবলম্বনে অষ্ট কান্ডে সম্পুর্ণ জগদ্রামী রামপ্রসাদী রামায়ন রচয়িতা তথা বাঁকুড়া জেলার সু সন্তান সাধক কবি জগদ্রাম রায় এর প্রতি শ্রদ্ধাঞ্জলি জানিয়ে ।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের আগে এই দিন বাঁকুড়া জেলা গ্রন্থাগার থেকে এই দিন দুপুর ১ টায় “বই এর জন্য হাঁটুন” এক পদযাত্রা শুরু হয়। এই পদযাত্রায় ছাত্র-ছাত্রী থেকে শুরু করে শিক্ষিকা এবং বিভিন্ন সামাজিক সংগঠনের সদস্যরা পা মেলান। এর পরেই খ্রিস্টান কলেজ ময়দানে আনুষ্ঠানিক ভাবে প্রদীপ প্রজনন মাধ্যমে শুরু হয় বই মেলা।

এবারের বইমেলায় ৮৫ টি প্রকাশক ও পুস্তক বিক্রেতা হাজির হয়েছেন। এর মধ্যে থাকতে বেশ কয়েকটি নামিদামি প্রকাশনী। পাঠ্যপুস্তক থেকে শুরু করে বিভিন্ন প্রকারের পুস্তকের ভান্ডার এবার পাঠকরা দেখতে পাবেন বই মেলায়। এর পাশাপাশি এবার থাকছে সাঁওতালি বই এর সম্ভার। অন্যদিকে জেলার ক্ষুদ্র পত্র পত্রিকার জন্য রাখা হয়েছে একটি পৃথক স্টল।
এবারের বই মেলার সাংস্কৃতিক মঞ্চের নামকরণ করা হয়েছে সাধক কবি জগদ্রাম রায় মঞ্চ। মেলায় মোট ৫ বিষয় কে চিহ্নিত করে প্রতিদিন বিশেষ সেমিনারের আয়োজন করা হয়েছে। এছাড়া প্রতিদিন
সন্ধ্যায় মঞ্চে থাকছে বিভিন্ন সংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।

এবার বই মেলার আনুমানিক বাজেট ধরা হয়েছে প্রায় ১১ লক্ষ ৫০ হাজার টাকার কাছাকাছি।

তবে এই দিন বইমেলা উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এসে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে বিশিষ্ট সাহিত্যিক নলিনী বেরা জানান বর্তমানে বিভিন্ন পরিসংখ্যান থেকে জানা গেছে ডিজিটাল মিডিয়া ও প্রিন্ট মিডিয়ার মধ্যে সর্বাপেক্ষা জনপ্রিয় প্রিন্ট মিডিয়া। মোট সংখ্যার একটা বড় সংখ্যক মানুষ এখনো বই পড়তে পছন্দ করছেন। পাশাপাশি তিনি জানান বর্তমানে গ্রামাঞ্চল থেকে শুরু করে শহরাঞ্চলে সাধারণ মানুষ সহ ছাত্র-ছাত্রীদের মধ্যে বই পড়ার প্রবণতা বেড়েছে। তবে অনেক সময় আমরা বিভিন্ন জায়গার উপহার হিসেবে বই কেই প্রথম বেছে নিতাম তবে এখন তাতে কিছুটা ছেদ পড়েছে। তবে বই থেকে আমরা সরে যাচ্ছি, এটাও ঠিক নয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *