শুরু হল ২৪ এ নির্বাচনের প্রার্থী বাদে দেওয়াল লিখন।

নদীয়া, নিজস্ব সংবাদদাতা:- বছরের প্রথম দিন সাথে তৃণমূল কংগ্রেসের প্রতিষ্ঠা দিবস আজ এই শুভ দিন থেকেই শুরু হল ২৪ এ নির্বাচনের প্রার্থী বাদে দেওয়াল লিখন, সূচনা করলেন বিধায়ক। ১৯৯৮ সালে আজকের দিন অর্থাৎ পয়লা জানুয়ারি তৎকালীন যুব কংগ্রেস নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় গঠন করেছিলেন তৃণমূল কংগ্রেস । একদিকে বছরের প্রথম দিন অন্যদিকে তৃণমূল কংগ্রেসের প্রতিষ্ঠা দিবস তাই বুথ স্তরের দলীয় কর্মী সমর্থকরা পতাকা উত্তোলন, এবং দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে আজ থেকেই আগামী ২৪ শে লোকসভা নির্বাচনের দেয়াল লিখন এর কাজ শুরু করলেন তারা। শান্তিপুর ছ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর তথা সারা বাংলা তৃণমূল কংগ্রেস তাঁত শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি অরুন বসাক আজ বেশ কয়েকটি দেওয়াল লেখার সূচনা করেন। অন্যদিকে শান্তিপুর ১৩ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর প্রশান্ত গোস্বামী আয়োজনে প্রয়াত বিধায়ক এবার দীর্ঘদিনের চেয়ারম্যান অজয়দের মূর্তিতে মাল্যদান করে বেশ কিছু প্রান্তিক পরিবারের মধ্যে বস্ত্র দান করা হয়। বিধায়ক ব্রজ কিশোর গোস্বামী সেই অনুষ্ঠানে যোগদান করে ওই ওয়ার্ডেরই একটি দেয়াল লিখনের সূচনা করেন। তিনি বলেন, যেকোনো শুভ কাজ বছরের শুরুতেই হয় তাই আজ দলের প্রতিষ্ঠা দিবস অন্যদিকে বছরের প্রথম তাই দলনেত্রীর নির্দেশে আগামী ২৪ এর লোকসভা নির্বাচনের প্রচার অভিযান শুরু হল আজ থেকে। বিগত দিনেও রাজ্য সরকারের এত উন্নয়ন সত্বেও এখানে ভরাডুবি হয়েছিল তৃণমূলের জয়ী হয়েছিলেন বিজেপির সাংসদ জগন্নাথ সরকার, শুধু তাই নয় সমগ্র রানাঘাট দক্ষিণ জেলায় প্রায় বিধায়ক শূন্য হয়ে পড়েছিলো তৃণমূলের কংগ্রেসের, এ বিষয়ে তিনি বলেন, অন্য জায়গার বিষয় আমার পক্ষে বলা ঠিক নয় তবে শান্তিপুরের নিরিনিরিখে বলতে পারি ধর্ম নিয়ে চলা ভারতীয় জনতা পার্টির বর্তমান সাংসদ জগন্নাথ সরকার মসজিদ নয়তো বাদই যাক কিন্তু কোন মন্দিরের সংস্কার করেছে তা মানুষ জানে। অন্যদিকে জেলা পরিষদ থেকেই হোক কিংবা পুরসভা অথবা আমার বিধায়ক তহবিল থেকে মন্দির মসজিদসহ ব্লাড ব্যাংক রাস্তাঘাট আলো পানীয় জলের যে পরিষেবা মানুষ পাচ্ছে সর্বোপরি পশ্চিমবঙ্গ সরকারের জন্ম থেকে মৃত্যু পর্যন্ত নানান জন্মুখী প্রকল্পের সুবিধা পাচ্ছেন তাতে এবারের লড়াইটা অত কঠিন হবে না বলেই মনে হয়। তার থেকেও বড় কথা সাংসদ জগন্নাথ সরকার সাংসদ হিসেবে নির্বাচিত হওয়ার পরে, সাধারণ মানুষজন তো দূরে থাক উনার দলীয় কর্মী সমর্থকরাই জানেন না কি উন্নয়ন হয়েছে রানাঘাট তপশিলি কেন্দ্রে। তাই মানুষ প্রতীক্ষায় রয়েছে উত্তর দেবে সময়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *