নদীয়া, নিজস্ব সংবাদদাতা:- নদীয়ার শান্তিপুর থানার মাঠে আয়োজিত মিলন উৎসবে মঞ্চ কাঁপালেন অভিনেত্রী পাপিয়া অধিকারী, তবে তিনি শুধু অভিনেত্রী নন বিজেপির নেত্রীও বটে। বিজেপি রাজ্য কমিটির সংস্কৃতি ও কলা বিভাগের দায়িত্বে আছেন তিনি।
তবে যে মঞ্চে তিনি অনুষ্ঠান করলেন সেখানে গতকালকেই উদ্বোধন করে গেছেন কৃষ্ণনগর লোকসভা কেন্দ্রের তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্র , রানাঘাট লোকসভা কেন্দ্রের প্রাক্তন তৃণমূল সাংসদ অধ্যাপক ডঃ তাপস মন্ডল , স্থানীয় বিধায়ক ব্রজ কিশোর গোস্বামী সহ পুরসভার একাধিক তৃণমূল কাউন্সিল র এবং নেতৃত্ব যদিও প্রত্যেকেই তারা জনপ্রতিনিধি। অন্যদিকে আয়োজক হিসাবে নিউ দেশবন্ধু ক্লাব। তাই বিষয়টি নিয়ে বিজেপি কিংবা তৃণমূল কেউই কুনজরে দেখছেন না। দুই শিবির থেকেই জানানো হয়েছে, অভিনেত্রী এবং রাজনীতি দুটি পৃথক বিষয় তা মেলানো ঠিক নয়। তবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছবি দিয়ে মেলায় বিভিন্ন তোরণ করা এবং সেই মেলায় আসার আগে বিজেপির প্রচার করা অভিনেত্রী পাপিয়া অধিকারীকে নিয়ে যথেষ্ট রাজনৈতিক গুঞ্জন রয়েছে সাধারণ মানুষের মধ্যে।
নদীয়ার শান্তিপুর নৃসিংহপুর এলাকায় দলীয় কর্মী সমর্থকদের এবং পঞ্চায়েত পঞ্চায়েত সমিতির সদস্যদের সাথে আলাপচারিত সারেন বেশ কিছুটা সময় । এমনকি বিজেপির বেশকিছু নেতৃত্বের বাড়িতেও তাকে যেতে দেখা যায় সৌজন্যমূলক সাক্ষাৎকারে । যদিও এ বিষয়ে নদীয়া জেলা মহিলা মোর্চা নেত্রী তথা ওই অঞ্চল থেকে জেলা পরিষদের পরাজিত বিজেপির প্রার্থী শিলা হালদার বলেন তাদের কাছে পাপিয়া দি সেলিব্রেটি নয় দলীয় নেত্রী তাইতো পঞ্চায়েত নির্বাচনে এই এলাকাতেই তার এবং বিজেপি প্রার্থীদের সমর্থনে প্রচার করে গিয়েছিলেন প্রায় সারাদিন। যাবার সময় বলে গিয়েছিলেন শুধু ভোট নয় অন্য সময়ে শান্তিপুরে আসলেও দেখা করে যাবেন আজ কথা রেখেছেন।
স্কুটিতে চেপে এক ঘন্টার ঝটিকা সফরে, ঘোরেন বেশ কিছু এলাকা বিশেষত পড়ার মোড়ে খেলার মাঠে তাকে দেখার জন্য এবং কথা বলার জন্য মহিলাদের উপচে পড়া ভিড় লক্ষ্য করা যায়।
প্রসঙ্গত শান্তিপুর থানার মাঠে আয়োজিত মিলন উৎসবের দ্বিতীয় দিনে আসেন অভিনেত্রী পাপিয়া অধিকারীর।
কিন্তু তারই কিছুটা আগে এই সফর। এলাকার এক বিজেপি মন্ডল নেতৃত্ব নিদান বর্মন জানান, দিদির জনপ্রিয় তা আজও তা প্রমাণ হয়েছে মানুষের ভিড়ে। তবে দিদির আগমনে আসন্ন ২৪ এ লোকসভা নির্বাচনের সূচনা আজ এই হরিপুর থেকেই হয়ে গেলো।
যদিও এ বিষয়ে পাপিয়া অধিকারী বলেন, প্রত্যেকটা মানুষের পৃথক বিভিন্ন স্বত্তা থাকে, সন্ধ্যায় যখন অনুষ্ঠানে যাব তখন অভিনেত্রী এখন একজন দলীয় কর্মী, তাই সকলের সঙ্গে মিলিত হয়ে আগামী ২২শে জানুয়ারি চিরকাঙ্ক্ষিত অযোধ্যায় রাম মন্দির স্থাপন উপলক্ষে শান্তিপুরের সকল গৃহবধূদের সনাতনী সংস্কৃতি অনুযায়ী প্রদীপ জ্বালানোর কথা বলেছি, দলীয় কর্মী সমর্থকদের প্রসাদী চাল নিয়ে বাড়ি বাড়ি আমন্ত্রণ জানানোর কথা বলেছি। তবে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কথা জানিয়েছি সকলকে এ বাংলায় বিভিন্ন দুর্নীতি অনাচার ব্যভিচার এর থেকে মুক্তি একমাত্র ভারতীয় জনতা পার্টি দিতে পারে। কেন্দ্রের সাথে একই সরকার রাজ্যে চললে উন্নয়ন অনেকটাই বেড়ে যাবে, মিটবে মানুষের দুর্ভোগ সমস্যা। আজ তিনি মানুষের মধ্যে শ্রীরামচন্দ্রের বিভিন্ন ধর্মীয় কাহিনী শোনান।