১২৫ বছর পুরোনো রাম মন্দির এবং হনুমান মন্দিরের কর্তৃপক্ষ সঙ্গে বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের সহায়তায় শ্রী রামচন্দ্র উৎসব উৎযাপন কমিটির মাধ্যমে বিশেষ উদ্যগ।

নিজস্ব সংবাদদাতা,বাঁকুড়া:-  বাঁকুড়া নাকি অযোধ্যা? রামের অতিকায় পোস্টার বাঁকুড়া শহরের বুকে ব্যস্ততম এলাকায়। চোখ বড় বড় করে দেখছে পথ চলতি মানুষ। এদিন রাম মন্দির প্রতিষ্ঠার আনন্দে বাঁকুড়া শহরে বাঁকুড়ার মানুষদের উদ্যোগে রামচন্দ্রের ৩৫ ফুট উচ্চতার একটি পোস্টার লাগানো হয়েছে সতীঘাট এলাকার নব নির্মিত গন্ধেশ্বরী সেতুর কাছে। পাশেই রয়েছে শতাধিক বছরেরও প্রাচীন রাম মন্দির এবং হনুমান মন্দির। রবিবার থেকেই শুরু হয়ে গিয়েছিল তোড়জোড়। রাম নাম সহযোগে লাগানো হয় ৩৫ ফুটের রামের ছবি।

রাতেও ধরা পড়ে বিশেষ প্রস্তুতি। আলোয় ঝলমল করছে দুই মন্দির। পরিষ্কার করা হচ্ছে রাম মন্দির। বাঁকুড়ার মানুষদের জন্যেই এই আয়োজন এমনটাই জানান এক উদ্যোক্তা। বাঁকুড়া শহরের ব্যস্ততম এলাকা সতীঘাট। নব নির্মিত গন্ধেশ্বরী সেতুর উপর দিয়ে নিত্য যাতায়াত হাজার হাজার মানুষের। সেই কারণেই এই এলাকায় বড় এই ছবি নজর কাড়ছে বহু মানুষের।

মাড়োয়ারি সমাজের ব্রাহ্মণরা করছে রামের নাম পাঠ। ১২৫ বছর পুরোনো রাম মন্দির এবং হনুমান মন্দিরের কর্তৃপক্ষ সঙ্গে বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের সহায়তায় শ্রী রামচন্দ্র উৎসব উৎযাপন কমিটির মাধ্যমে নেওয়া হয়েছে এই উদ্যোগ। উদ্যোক্তা সৌগত পাত্র জানান, “রামচন্দ্রকে ঘিরেই সব কিছু থাকছে এদিন। যজ্ঞ, পূজা, রাম নাম পাঠ, প্রদীপ প্রজ্জ্বলন এবং প্রসাদ বিতরণ।” অর্থাৎ বোঝাই যাচ্ছে যে বাঁকুড়া জেলার উন্মাদনা তুঙ্গে।

বাঁকুড়ার লোক সাংস্কৃতিক ইতিহাসে রামচন্দ্রের বিশেষ জায়গা রয়েছে। রামের সঙ্গে বাঁকুড়ার যোগসূত্র বরাবরের। অযোধ্যায় রাম মন্দিরকে প্রতিষ্ঠা ঘিরে সাধারণ মানুষের উন্মাদনা এবং উৎযাপন যেন এক প্রকার প্রত্যাশিতই ছিল।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *