১৮৯৭ সালের ২৩ জানুয়ারি বর্তমান ওড়িশার কটক শহরে জন্মগ্রহণ করেন সুভাষ চন্দ্র বসু। তাঁর মাতা ছিলেন প্রভাবতী দেবী এবং পিতা জানকীনাথ বসু। তিনি ছিলেন তাঁর বাবা মায়ের ১৪ জন সন্তানের মধ্যে নবমতম সন্তান। জনসাধারণের কাছে ‘নেতাজি’ নামেই সর্বাধিক প্রচলিত তিনি।
তিনি বলেন—
‘ ‘সমস্যা সমাধানের ক্ষেত্রে নেতাজির বাণী, ‘আমাদের দেশের সকলের সমস্যা হল দরিদ্রতা, রোগ, অশিক্ষা, যে দিন মানুষের সামাজিক চেতনা বোধ হবে সেই দিন এই সমস্ত সমস্যার ক্ষসমাধান হবে। ‘ ‘সর্বদা সত্যতার মাধ্যমে জীবন অতিবাহিত করতে হবে। ‘ ‘নিজের প্রতি সৎ হলে সারা বিশ্বের প্রতি কেউ অসৎ হতে পারবে না।
* “জগতের সব কিছু ক্ষণভঙ্গুর। শুধু একটা জিনিস ভাঙে না, সে বস্তু, ভাব বা আদর্শ।”
* “প্রকৃতির সঙ্গ ও শিক্ষা না পাইলে, জীবন মরুলোকে বির্বাসনের মত, সকল রস ও অনুপ্রেরণা হারায়।”
* ” জীবনে প্রগতির আশা নিজেকে ভয়, সন্দেহ থেকে দূরে রাখে এবং তার সমাধানের প্রয়াস চালাতে থাকে।”
* “মানুষ যতদিন বেপরোয়া, ততদিন সে প্রাণবন্ত।”
* “নরম মাটিতে জন্মেছে বলেই বাঙালির এমন সরল প্রাণ”।
* “আমাদের সবচেয়ে বড় জাতীয় সমস্যা হল, দারিদ্র, অশিক্ষা, রোগ, বৈজ্ঞানিক উত্পাদন। যে সমস্যাগুলির সমাধান হবে, কেবলমাত্র সামাজিকভাবনা চিন্তার দ্বারা।”
* “নিজের প্রতি সত্য হলে বিশ্বমানবের প্রতি কেউ অসত্য হতে পারে না।”
* “যদি জীবনে সংগ্রাম, ঝুঁকি না থাকে , তাহলে জীবন বাঁচাটা অনেকটা ফিকে হয়ে যায়।”
* “স্বাধীনতা দেওয়া হয়না, ছিনিয়ে নিতে হয়।”
* “শুধু আলোচনার মাধ্যমে ইতিহাসের কোন আসল পরিবর্তন সাধিত হয়নি।”
“মনে রাখতে হবে যে সবচেয়ে বড় অপরাধ হল অন্যায়ের সঙ্গে আপোষ।”
* “ভারত ডাকছে। রক্ত ডাক দিয়েছে রক্তকে। উঠে দাঁড়াও আমাদের নষ্ট করার মতো সময় নেই। অস্ত্র তোলো!..যদি ভগবান চান , তাহলে আমরা শহিদের মৃত্যু বরণ করব।”
* “বাস্তব বোঝা কঠিন। তবে জীবনকে সত্যতার পথে এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে। সত্যকে গ্রহণ করতে হবে।”
* “মানুষ, টাকাকড়ি ,বাহ্যিক আড়ম্বর দিয়ে জয়লাভ বা স্বাধীনতা কেনা যায় না। আমাদের আত্মশক্তি থাকতে হবে, যা সাহসী পদক্ষেপ নিতে উত্সাহ দেবে।”
।। তথ্য : সংগৃহীত উইকিপিডিয়া ও বিভিন্ন ওয়েবসাইট।।