তৃণমূল বিধায়কের দেহরক্ষীর মৃতদেহ উদ্ধারকে কেন্দ্র করে চাঞ্চল্য ছড়ালো বাঁকুড়ার বাঁশি গ্ৰামে।

বাঁকুড়া, নিজস্ব সংবাদদাতা:- এমএলএ হস্টেল থেকে তৃণমূল বিধায়কের দেহরক্ষীর মৃতদেহ উদ্ধারকে কেন্দ্র করে চাঞ্চল্য ছড়ালো বাঁকুড়ার বাঁশি গ্ৰামে। নিরাপত্তা রক্ষীর নাম জয়দেব গরাই (৩৪)। বাড়ি বাঁকুড়া জেলার সিমলাপাল ব্লকের বাঁশি গ্রামে।

খবরে প্রকাশ, আজ সকালে পুরুলিয়া জেলার বান্দোয়ানের তৃণমূল বিধায়ক রাজীব লোচন সরেনের নিরাপত্তারক্ষী জয়দেব গরাইয়ের মৃতদেহ কলকাতার এমএলএ হস্টেলের ৪১৯ নম্বর ব্যালকনির নীচে মাটিতে উপুড় হয়ে পড়ে থাকতে দেখা যায়। খবর পেয়ে তড়িঘড়ি ঘটনাস্থলে আসেন পুলিশ। আসেন ফরেনসিক টিমের বিশেষজ্ঞরাও। পরে পুলিশের তরফে মৃতদেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে বলে খবর। দেহটি আপাতত উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে।

এদিন দুপুরে মৃত নিরাপত্তারক্ষী জয়দেব গরাইয়ের গ্রাম বাঁশিতে গিয়ে দেখা গেল পুরো গ্রাম জুড়ে শোকের আবহ। আর কয়েক দিন পরেই ‘ছুটি’তে বাড়ি আসার কথা ছিল, তার আগেই সব শেষ! বিষয়টি মেনে নিতে পারছেননা পরিবারের সদস্য, বন্ধু বান্ধব থেকে পাড়া প্রতিবেশী কেউই।

মৃত ওই নিরাপত্তারক্ষীর পরিবার সূত্রে খবর, ২০১২ সালে রাজ্য পুলিশে যোগ দেন জয়দেব গরাই। গত কয়েক বছর ধরে তিনি বান্দোয়ানের তৃণমূল বিধায়ক রাজীব লোচন সরেনের নিরাপত্তারক্ষী হিসেবে কাজ করছিলেন। বাড়িতে মা, স্ত্রী, আট বছরের এক ছেলে সহ কাকা-কাকিমারা রয়েছেন।

এমএলএ হস্টেল একটি ‘হাইসিকিওরড জোন’। সেখানে কীভাবে এই ধরনের ঘটনা ঘটল, তা নিয়েই প্রশ্ন তুলছেন মৃত জয়দেব গরাইয়ের পরিবার। তার খুড়তুতো বোন ঋতু গরাই বলেন, আমাদের জানানো হয়েছে দাদা পাঁচ তলা থেকে ঝাঁপ দিয়ে মারা গেছে। এই কথা আমরা বিশ্বাস করিনা, ঘটনার উচ্চ পর্যায়ের তদন্ত তারা করছেন বলে জানান।

কাকিমা রীণা গরাইও ঘটনার পূর্ণাঙ্গ দাবি করেন। তিনি বলেন, আমাদের ছেলে কখনো আত্মহত্যা করতে পারেনা।

বিষয়টি মেনে নিতে পারছেননা মৃত জয়দেব গরাইয়ের বাল্য বন্ধু সঞ্জয় গরাই। তিনি বলেন, সব সময় হাসি খুশি থাকতো, ও কখনো আত্মহত্যা করতে পারেনা। বন্ধুকে ‘প্ল্যান করে খুন করা হয়েছে’ বলে তিনি দাবি করেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *