বাঁকুড়া, নিজস্ব সংবাদদাতা:- ‘বই পড়ার অভ্যাস গড়ে উঠুক শৈশব থেকেই, প্রকৃত শিক্ষায় শিক্ষিত হয়ে উঠুক আগামী প্রজন্ম’। এই লক্ষ্য নিয়েই ফেব্রুয়ারী মাস জুড়ে আর্থিকভাবে পিছিয়ে পড়া পরিবার গুলির কচিকাঁচাদের হাতে বই, শ্লেট, পেন্সিল সহ অন্যান্য শিক্ষা সামগ্রী তুলে দেওয়ার উদ্যোগ নিয়েছেন মধ্য চল্লিশের যুবক শেখ বাপি। ওই কর্মসূচীর অঙ্গ হিসেবে রবিবার তালডাংরার হাড়মাসড়া গ্রাম পঞ্চায়েতের মড়াশোল গ্রামের শিশুদের হাতে বেশ কিছু শিক্ষা সামগ্রী ও চকোলেট তুলে দিলেন তিনি। এদিনের এই কর্মসূচীতে শেখ বাপি ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন গ্রামের ৯৮ বছর বয়সী প্রভাকর পরামানিক, কলেজ ছাত্রী বর্ষা রায়, শেখ কিরণ, গ্রামবাসী কৌশিক পরামানিক সহ অন্যান্যরা।
স্থানীয় সূত্রে খবর, বিগত লকডাউনের দিন গুলিতে সম্পূর্ণ ব্যক্তিগত উদ্যোগে পেশায় ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী শেখ বাপি জাতি-ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে আর্থিকভাবে পিছিয়ে মানুষের খাদ্য সামগ্রী তুলে দেওয়া, জেলার ব্লাড ব্যাঙ্ক গুলিতে রক্ত সংকট মেটাতে রক্তদান কর্মসূচীর আয়োজন, প্রাকৃতিক বিপর্যয়ে সাধ্যমতো সাহায্যের পাশাপাশি ধারাবাহিকভাবে ঈদ-শারদোৎসব ও শীতের সময়েও প্রয়োজনীয় নতুন বস্ত্র উপহার দিয়ে তিনি মানুষের পাশে থেকেছেন। এবার শিশুদের হাত ধরে প্রতিটি মানুষকে শিক্ষার আলোর আলোকিত করার তাঁর এই উদ্যোগ যথেষ্ট প্রশংসনীয় বলেই ওই এলাকার মানুষ জানিয়েছেন।
শেখ বাপির অভিনব ও ব্যতিক্রমী এই উদ্যোগকে ধন্যবাদ জানিয়ে গ্রামবাসী সরস্বতী পরামানিক বলেন, আমারা আনন্দিত। নতুন বই পেয়ে আমাদের ছেলে মেয়েরাও শিশু বয়স থেকেই পড়াশুনার প্রতি আগ্রহী হবে। এই উদ্যোগে তাঁরা খুশী বলেই জানান।
কলেজ ছাত্রী বর্ষা রায় বলেন, শেখ বাপিদার এই কর্মকাণ্ডের প্রশংসা করি। এই ধরণের উদ্যোগ যথেষ্ট প্রশংসনীয় বলে তিনি জানান।
শেখ বাপি বলেন, চলতি ফেব্রুয়ারী মাস জুড়ে এই কর্মকাণ্ড চলবে। ইতিমধ্যে গত চার দিনে এলাকার বেশ কয়েকটি গ্রামে শিশুদের হাতে শিক্ষা সামগ্রী তুলে দেওয়ার কাজ করেছি। মানুষ আগ্রহের সঙ্গে পাশে থাকছেন। আগামী দিনেও এই প্রচেষ্টা অব্যাহত থাকবে বলে তিনি জানান।
Leave a Reply