নদীয়া, নিজস্ব সংবাদদাতা:- নদীয়ার কৃষ্ণনগর এলাকায় গ্রামের প্যাসেঞ্জার নিয়ে টোটো আসতে পারবেনা শহরে এমনই নির্দেশ দিয়েছিলো প্রশাসন। তাই নিয়ে গ্রামাঞ্চলের টোটো চালকদের মধ্যে নানান ক্ষোভ-বিক্ষোভের সৃষ্টি হয়। যদিও তার বহিঃপ্রকাশ হয়নি স্থানীয় পঞ্চায়েত এবং সমষ্টি উন্নয়ন আধিকারিক অফিস বিভিন্ন জায়গায় লিখিতভাবে তাদের অসুবিধার কথা জানিয়েছিলেন তারা। কিন্তু তারপর থেকে চলছিলো দিব্যি, আজ হঠাৎই কৃষ্ণনগর ঘূর্ণি গোডাউন মোড় এলাকায় সকালে এলাকাবাসী এবং বিভিন্ন যান চলাচলকারী চালকরা লক্ষ্য করেন সেখানে বেশ কয়েকটি ফ্লেক্স রাস্তার উপর টাঙানো রয়েছে। কর্তৃপক্ষের উল্লেখ না থাকলেও পরিষ্কার কথায় লেখা আছে শহরে প্রবেশ নিষেধ। কৃষ্ণনগর শহরের যানজট নিয়ন্ত্রণ সংক্রান্ত আলোচনা সভায় গৃহীত সিদ্ধান্ত অনুসারে কৃষ্ণনগর পৌরসভা স্বীকৃতিপ্রাপ্ত টোটো ছাড়া অন্য টোটো সকাল ন’টা থেকে সন্ধ্যা আটটা পর্যন্ত চলাচল করতে পারবেনা এই রাস্তা দিয়ে।
লেখা দেখে আজ সকালে বেশ কিছু টোটো চালক বিক্ষোভ দেখান পথ অবরোধ করেন তাদের অভিযোগ সমস্ত টোটো চালকের কথা এক্ষেত্রে ভাবা হয়নি এবং মিটিং এ সকলের সমবেত সিদ্ধান্তও নাকি গৃহীত হয়নি। যদিও বিক্ষোভ সামাল দিতে কোতোয়ালি থানার পুলিশ ছুটে আসে ঘটনাস্থলে তারা বিক্ষোভকারীদের বোঝাতে সমর্থ্য হয় বিষয়টি আলোচনা স্তরে সমাধানযোগ্য মানুষের অসুবিধা সৃষ্টি না করার জন্য। আজও উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা চলছে সে কথায় মান্যতা দিয়ে টোটো চালকরা, সাময়িকভাবে তাদের বিক্ষোভ তুলে নেন এবং প্রশাসনের পরামর্শ মতন উর্ধ্বতর কর্তৃপক্ষের সাথে আগামীকাল সকালে মিটিংয়ে বসার প্রস্তাব মেনে নেন। এরপর যান চলাচল স্বাভাবিক হয়। যদিও এ বিষয়ে প্রশাসনিক প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি, তারা বলেছেন আগামীকালকের মিটিংয়ে সমস্যা সমাধান হয়ে যাবে।