ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলন ছিল কিছু মানুষের অব্যর্থ পরিশ্রম যার ফলেই ব্রিটিশদের থেকে ভারত রাজনৈতিক দিক থেকে মুক্তি পেয়েছে। ভারত উপমহাদেশের বিংশ শতাব্দীতে ব্রিটিশ সম্রাজ্যবাদ বিরোধী যে সশস্ত্র বিপ্লববাদী লড়াই-সংগ্রাম সংগঠিত হয় এবং যার ধারাবাহিকতায় ভারত স্বাধীন হয়, তার মূলে যে সকল বিপ্লবীর নাম সর্বজন স্বীকৃত তাঁদের মধ্যে লোকনাথ বল প্রথমসারির একজন অন্যতম বিপ্লবী ছিলেন। লোকনাথ বল ভারতীয় উপমহাদেশের ব্রিটিশ বিরোধী স্বাধীনতা আন্দোলনে এক উল্লেখযোগ্য নাম, যিনি দেশমতৃকার শৃঙ্খল মুক্তির জন্য নিজেকে সঁপে দিয়েছিলেন সম্পূর্ণ রূপে। লোকনাথ বল (৮ মার্চ ১৯০৮ – ৪ সেপ্টেম্বর ১৯৬৪) একজন ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলনকারী এবং সূর্য সেনের সশস্ত্র বিপ্লবী সদস্য যিনি চট্টগ্রাম অস্ত্রাগার লুন্ঠনে অংশগ্রহণ করেছিলেন। পরে তিনি ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেসে যোগদান করেন। ভারতের স্বাধীনতার, পর তিনি কলকাতা পৌরসংস্থায় প্রসাসনিক কর্মকর্তা হিসাবে যোগ দেন এবং আমৃত্যু সেখানে ছিলেন।
স্বাধীনতা আন্দোলন—-
১৯৩০ সালের ১৮ এপ্রিল সংঘটিত সূর্য সেন-এর নেতৃত্বে কয়েকজন স্বাধীনতাকামী বিপ্লবীর ব্রিটিশ পুলিশ ও সহায়ক বাহিনীর চট্টগ্রামে অবস্থিত অস্ত্রাগার লুন্ঠনে তিনি অংশগ্রহণ করেন। পরবর্তীতে ২২ এপ্রিল ১৯৩০ সালে আরেকটি বন্ধুকযুদ্ধে তার ছোট ভাই হরিগোপাল বল(টেগরা) সহ ১১ জন নিহত হয়। তিনি সেখান থেকে পালাতে সক্ষম হন এবং ফরাসীদের এলাকা চন্দননগর পৌঁছান। ১ সেপ্টেম্বর ১৯৩০ সালে তিনি ও গনেশ ঘোষ ব্রিটিশ পুলিশের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধের পর গ্রেপ্তার হন এসময় তার সহযোগী জীবন ঘোষাল মারা যান। ১৯৩২ সালে তাকে নির্বাসনে আন্দামান ও নিকোবর দ্বীপপুঞ্জর পোর্ট ব্লেয়ারে অবস্থিত সেলুলার জেলে পাঠানো হয়। ১৯৪৬ সালে মুক্তির পরে তিনি মানবেন্দ্রনাথ রায় প্রতিষ্ঠিত র্যাডিক্যাল ডেমোক্র্যাটিক পার্টিতে যোগ দেন। পরে তিনি ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেসে যোগ দেন।
স্বাধীনতা পরবর্তী—-
লোকনাথ বল ১ মে ১৯৫২ থেকে ১৯ জুলাই ১৯৬২ সাল পর্যন্ত কলকাতা পৌরসংস্থায় ২য় উপকমিশনার ছিলেন। ২০ জুলাই ১৯৬২ সালে তিনি ১ম উপ কমিশনারে পদোন্নতি পান।
মৃত্যু—
লোকনাথ বল ৪ সেপ্টেম্বর ১৯৬৪ সালে কলকাতায় মৃত্যুবরণ করেন।
।।তথ্য : সংগৃহীত ইন্টারনেট।।
Leave a Reply