চারদিন ধরে বীরভূম জেলার দুবরাজপুরে মিষ্টি তৈরীর কারিগর প্রশিক্ষণ শিবির চলছে।

0
2435

দুবরাজপুর, সেখ ওলি মহম্মদঃ- যুবক ও যুবতীদের স্বাবলম্বী করে তুলতে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের Department of M.S.M.E & T-এর আর্থিক সহায়তায় জেলা শিল্প কেন্দ্রের ব্যাবস্থাপনায় ও পশ্চিমবঙ্গ মিষ্টান্ন ব্যবসায়ী সমিতির তত্ত্বাবধানে বীরভূম জেলায় মিষ্টি তৈরীর কারিগর প্রশিক্ষণ শিবির চলছে। এই শিবিরে ১৮ থেকে ৩৫ বছরের যুবক যুবতীরা প্রশিক্ষণ নিচ্ছেন। ২ দিন থিওরি এবং ৫ দিন প্র্যাক্টিক্যাল নিয়ে মোট সাতদিন এই শিবির চলছে। প্রথমে শুরু হয়েছে সিউড়িতে। তারপর চারদিন ধরে বীরভূম জেলার দুবরাজপুরে মিষ্টি তৈরীর কারিগর প্রশিক্ষণ শিবির চলছে। প্রথম দিনে দুবরাজপুরের পাকুরতলা মোড় সংলগ্ন সাধনা সুইটস্‌ দোকানে কালাকাঁদ তৈরীর প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়। তারপর একদিন মোহন সুইটস্‌-এ রসগোল্লা তৈরির প্রশিক্ষণ দেওয়া হয় এবং আজ দুবরাজপুর বাজারে অরবিন্দ সুইটস্‌-এ মতিচুরের লাড্ডু তৈরির প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়। এদিন সিউড়ি ও দুবরাজপুরের ১২ জন যুবক-যুবতী এই শিবিরে অংশ নেন। এদিন উপস্থিত ছিলেন পশ্চিমবঙ্গ মিষ্টান্ন ব্যবসায়ী সমিতির দুবরাজপুর শাখার সভাপতি অরুণ কুমার রুজ, সহ-সম্পাদক বীরু দাস প্রমুখ। বীরু দাস জানান, আমরা রাজ্য সরকারকে বার বার বলেছিলাম মিষ্টির দোকানে আমরা কোনো কারিগর পাচ্ছি না। আমাদের বড় সমস্যা ম্যান পাওয়ার। তার জন্য সরকার আমাদের সাহায্য করেছে এবং আমরা সরকারের সাথে যৌথ উদ্যোগে আমরা একটি প্রশিক্ষণ শিবির করব। যাতে আমাদের মিষ্টির দোকানে কারিগরের সমস্যাটা দূর হয়। যাঁরা এই শিবিরে প্রশিক্ষণ নিচ্ছেন তাঁদের একটি করে সার্টিফিকেট দেওয়া হবে এবং ট্রেনিং চলাকালীন ২৫০ টাকা করে দেওয়া হবে। সিউড়ির বাসিন্দা চুমকি দাস জানান, এই প্রশিক্ষণ নিয়ে আমি খুবই খুশি। কারণ এখানে শিখে আমি অন্তত নিজের একটি মিষ্টির দোকান খুলতে পারব। তাছাড়াও প্রশিক্ষণ শেষে একটি করে সার্টিফিকেটও দেওয়া হবে। ভবিষ্যতে ঐ সার্টিফিকেটের মাধ্যমে লোন নিয়ে দোকান চালাতে পারব।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here