আবদুল হাই, বাঁকুড়াঃ- সর্বস্বান্ত পরিবারের প্রধান মানিক রায়, বাড়ি বাঁকুড়া জেলার ইন্দাস ব্লকের শহিসনাড়া গ্রামে, যার নিজস্ব জমি জায়গা নেই বললেই চলে। কোনোমতে সংসার চলে, যে সংসারের কর্তী দীর্ঘদিন ক্যান্সার আক্রান্ত হয়ে বিছানায় শয্যাশায়ী। এই সাত মাস হলো স্ত্রীর চিকিৎসা করাবার টাকা নেই অতএব ক্যান্সার আক্রান্ত স্ত্রীর চিকিৎসা অথৈ জলে।
মানিক রায় স্বাস্থ্য সাথী কার্ড নিয়ে হসপিটালে ঘুরেছেন কিন্তু পরিষেবা পাইনি বলেই অভিযোগ করেন। হসপিটাল কতৃপক্ষ বিভিন্ন রকম অজুহাত দেখিয়ে তাকে ফিরিয়ে দিয়েছেন
অতএব ক্যান্সার আক্রান্ত স্ত্রীর চিকিৎসা সেইভাবে হয়নি অবশ্য চেষ্টা করেছেন নিজের সাধ্যমত কিন্তু ক্যানসারের মতো মরন রোগের চিকিৎসা মানিক রায় এর পক্ষে প্রায় অসম্ভব।
বৃষ্টি রায়, ক্যান্সারাক্রান্ত মা মৌসুমী রায় আর অসহায় বাবা মানিক রায়েরএকমাত্র হতভাগ্য মেয়ে।
সবে মাত্র মাধ্যমিক পরীক্ষা দিয়েছে। বৃষ্টি রায় এখন ক্যান্সারে আক্রান্ত মরণাপন্ন মায়ের একমাত্র সেবিকা। এই বয়সে ছেলে মেয়েরা যখন স্কুলের পড়াশোনা স্কুল এবং সঙ্গী-সাথীদের সঙ্গে খেলাধুলা করে আনন্দে জীবন কাটায় তখন বৃষ্টি রায় কে রান্নাবান্না থেকে বাড়ির যাবতীয় কাজ করে মায়ের সেবা যত্ন , খাওয়া-দাওয়া সমস্তটাই করতে হয় একার হাতে। বিশ্রাম নেই , তারপর ক্লান্ত-অবসন্ন দেহটাকে নিয়ে ছুটতে হয় প্রাইভেট টিউশনে, পড়তে হয় স্কুলের এবং টিউশনের পড়া।
এতকিছুর পরেও মায়ের প্রতি মেয়ের ভালবাসার এবং আবেগ এতোটুকু কমে যায়নি আর সেটা বৃষ্টি রায়ের কথাতেই ধরা পরল আমাদের সাংবাদিকের ক্যামেরায়।
Leave a Reply