ভোটের মুখে একজন বামপন্থী আদিবাসী মহিলা জন প্রতিনিধিকে টাকার প্রলোভন দিয়ে কিনে নেওয়ার চেষ্টা করছে তৃনমূল নেতারা, অভিযোগ অস্বীকার তৃনমূলের।

0
609

জলপাইগুড়ি, নিজস্ব সংবাদদাতাঃ- তৃনমূলে যোগদান করাতে আদিবাসী পঞ্চায়েত সদস্যাকে টাকার বান্ডিল দিয়ে প্রলোভন তৃনমূল নেতাদের। টাকার ছবি সহ কমিশনে লিখিত অভিযোগ সিপিএমের। অভিযোগ অস্বীকার তৃনমূলের।

জলপাইগুড়ি শহর সংলগ্ন করলা ভ্যালি চা বাগানের চা শ্রমিক রুবিনা মুন্ডা। তিনি ওই চা বাগান থেকে সিপিএম দলের একজন নির্বাচিত পঞ্চায়েত সদস্যা (অরবিন্দ গ্রামপঞ্চায়েত)

সিপিএমের অভিযোগ পঞ্চায়েত ভোটের পর থেকে রুবিনাকে তৃনমূলে যোগদান করাবার জন্য বিভিন্ন ভাবে ভয়ভীতি প্রদর্শন করছে স্থানীয় তৃনমূল নেতারা। কিন্তু তিনি চাপের মুখে নতি স্বীকার করেন নি।

অভিযোগ রবিবার সন্ধ্যা নাগাদ রুবিনার বাড়িতে দলবল নিয়ে চড়াও হয় কৃষ্ণ দাস, রাজা মন্ডল, প্রধান হেমব্রম সহ জনা ৩০ তৃনমূল আশ্রিত দুষ্কৃতিরা। রুবিনার বাবা-মাকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে এবং হুমকি দেয়। তারপর তাঁরা জোর করে রুবিনার বাবা সরকারী শ্রী মোহন মুন্ডার ঘরে ঢুকে পড়ে এবং তাদের বিছানায় ৫০০ টাকার নোটের বান্ডিল ফেলে দিয়ে চিৎকার করে বলেন,“আমরা তোদের টাকা দিচ্ছি। আমাদের নির্দেশ মতো কাল তৃণমূলের ঝান্ডা ধরবি। নইলে বিপদ আছে। এই ঘটনার তীব্র প্রতিবাদ করে রুবিনা। এরপর তিনি বিষয়টি সিপিএম নেতাদের জানিয়ে দিলে রাতেই জলপাইগুড়ি কোতোয়ালি থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করে সিপিএম প্রার্থী। বর্তমানে রুবিনা বাড়িতে নেই। অন্যত্র আশ্রয় নিয়েছেন।

সিপিএম প্রার্থী দেবরাজ বর্মন বলেন ধমক চমকে কাজ হয়নি। এখন ভোটের মুখে একজন বামপন্থী আদিবাসী মহিলা জন প্রতিনিধিকে টাকার প্রলোভন দিয়ে কিনে নেওয়ার চেষ্টা করছে তৃনমূল নেতারা। তার বাড়িতে গিয়ে টাকার বান্ডিল দিয়ে এসেছে। আমরা থানায় অভিযোগ দায়ের করলাম। পাশাপাশি নির্বাচন কমিশনের দারস্থ হয়েছি। পুলিশ অভিযোগ গ্রহন করেছে। যথাযথ ব্যাবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছে।

SFI এর সর্বভারতীয় সাধারন সম্পাদক ময়ূর বিশ্বাস বলেন তৃনমূলের হুমকি ও প্রলোভনের কাছে আমাদের এই আদিবাসী মহিলা নেত্রী নিজের মেরুদণ্ড বিক্রি করে দেয়নি। উলটে প্রতিবাদ করেছেন। আমরা উনার লড়াইকে কুর্নিশ জানাই।

বিষয়টিকে সাজানো ঘটনা বলে উড়িয়ে দিয়েছে তৃনমূলের জেলা কমিটির সদস্য তপন ব্যানার্জী। তার বক্তব্য তৃনমূলের অবস্থা এতটা করুন হয়ে যায়নি যে সিপিএম নেতাকে টাকা দিয়ে দলে আনতে হবে। আসলে তৃনমূলকে বদনাম করার জন্য এই কাজ করছে সিপিএম। কিন্তু লাভ হবেনা। মানুষ তৃনমূলের পক্ষে রয়েছে।

ঘটনায় বিজেপি নেতা শ্যামাপ্রসাদ তীব্র ভাষায় কটাক্ষ করে বলেন,এটা সিপিএম এবং তৃণমূলের ভোট প্রচারের কৌশল।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here