যাদবপুরে ভোটের প্রাক্কালে বিজেপির প্রার্থীর শক্তি প্রদর্শন: রামনবমী শোভাযাত্রায় মানুষের ঢল।

যাদবপুর, নিজস্ব সংবাদদাতা:- সকালে রোদ উঠেছে তীব্র প্রখরতা নিযে। উত্তপ্ত শহর থেকে জেলা পর্যন্ত। দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলিতে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা কোথাও কোথাও ৩ থেকে ৫ ডিগ্রি বেশি। আকাশে খুঁজলেও একটুও বৃষ্টির মেঘ পাবে না। এরই মধ্যে কলকাতার তাপমাত্রা ৪২ ডিগ্রিতে বাড়তে পারে বলে সতর্ক করেছে আবহাওয়া দফতর। কিন্তু তার পরেও বন্ধ নেই ভোট প্রচার। উত্তাপের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে চলছে ভোট প্রচার প্রতিটি দলের।

পিছিয়ে নেই কলকাতার যাদবপুর। এখানে বিজেপি মনোনীত প্রার্থী ডঃ অনির্বাণ গঙ্গোপাধ্যায় প্রচার চালাচ্ছেন জোর কদমে। প্রচার, সভা, জনসংযোগ চলছে সমান তালে।গতকাল বিকেলে যাদবপুরের বিজেপির প্রার্থী ডঃ অনির্বাণ গঙ্গোপাধ্যায় সোনারপুরে রামনবমীর এক বিরাট শোভাযাত্রায় অংশগ্রহণ করেন। সেই শোভাযাত্রায় মানুষের অংশগ্রহণ ছিল চোখে পড়ার মতন। মানুষ স্বতঃস্ফূর্তভাবে বিজেপির সমর্থনে ঘর থেকে বেরিয়ে এসে এই শোভাযাত্রা অংশগ্রহণ করেন। শুধু যে বিজেপি দলের নেতা কর্মীরা এই শোভাযাত্রায় অংশগ্রহণ করেছেন তা ন,য় এলাকার বাচ্চা থেকে বৃদ্ধ সকলেই এই শোভাযাত্রায় অংশগ্রহণ করেছেন।

কারণ এটি কোন দলীয় শোভাযাত্রা নয়, এটি ভগবান শ্রী রামের নামে বের হওয়া এক শোভা যাত্রা । দীর্ঘ এই শোভাযাত্রা এলাকার মানুষের মনে বিজেপির প্রতি যে ভালোবাসা রয়েছে তারাই প্রতিফলন হিসেবেই দেখছে স্থানীয় বিজেপি। কারণ মানুষ বিজেপিকেই চায়, কিন্তু তৃণমূলের ভয়ে তারা বিজেপির সাথে এসে যুক্ত হতে পারছে না। কিন্তু রামনবমীর এই শোভা যাত্রায় তাদের অংশগ্রহণ প্রমাণ করে দিল যে তারা বিজেপিকেই চাইছে। এই শোভাযাত্রার পরে যাদবপুর কেন্দ্রের প্রার্থী অনির্বাণ গঙ্গোপাধ্যায় একাধিক পথসভা করেন।

এই দিকে ইতিমধ্যেই গতকাল বাংলায় প্রথম দফার ভোট সম্পন্ন হয়েছে। গতকাল বাংলার ৩ লোকসভা কেন্দ্রে ভোট সম্পন্ন হয়েছে , যেখানে ভোটের শতাংশ ছিল প্রায় ৭৫ থেকে ৮০ শতাংশর কাছাকাছি। ভোটে কিছু অপ্রীতিকর ঘটনা সামনে এসেছে, যেখানে বিরোধীদল বিজেপি অভিযোগ করেছে তাদের নেতা কর্মীদের উপর হামলা করেছে শাসক দল তৃণমূল।

তবে উত্তরে ভোট সম্পন্ন হলেও বঙ্গের দক্ষিনে একদম শেষ দফায় ভোট হতে চলেছে। যার ফলে ভোট হতে এখনো প্রায় ৪০ দিনের মতন বাকি রয়েছে। আর তার আগেই ভোটের প্রচার চলছে দক্ষিণ বঙ্গের বিভিন্ন লোকসভা কেন্দ্রে। আরে যার মধ্যে অন্যতম হলো যাদবপুর লোকসভা কেন্দ্র। কারণ এই যাদবপুর লোকসভা কেন্দ্র দক্ষিণ বঙ্গের এমন একটি কেন্দ্র যেখানে শুধু তৃণমূল বা বিজেপি নয় এখানে ত্রিমুখী লড়াই হতে চলেছে। এখানে তৃণমূল, বিজেপি ও সিপিএমের মধ্যে লড়াই হতে চলেছে, যার ফলে এই কেন্দ্রটি বঙ্গবাসীর নজরে রয়েছে।

এই কেন্দ্রে তৃণমূলের প্রার্থী সায়নী ঘোষ আর বিজেপির প্রার্থী ডঃ অনির্বাণ অনির্বাণ গাঙ্গুলীর মধ্যেই প্রধান লড়াই দেখা যাবে। তবে ইতিমধ্যেই প্রতিটি দল এই কেন্দ্রে নিজেদের সর্বশক্তি দিয়ে প্রচার শুরু করেছে। তার কারণ প্রতিটি দলই জানে এই কেন্দ্রে লড়াই এতটা সহজ হবে না। তার কারণ সিপিএমের শক্ত ঘাঁটি হিসেবে পরিচিত যাদবপুর কেন্দ্র। তবে যদিও বর্তমানে সিপিএমের সেই শক্তি আর নেই কিন্তু ভোট কাটাকাটির খেলায় ভালই প্রভাব রাখবে সিপিএম।

তবে ইতিমধ্যেই বিজেপির প্রার্থী অনির্বাণ গঙ্গোপাধ্যায় মানুষের স্বতঃস্ফূর্ত ভালোবাসা পেয়েছেন, বিশেষ করে হিন্দু সমাজের মানুষজন তার স্বচ্ছ ভাবমূর্তি দেখে তাকে পছন্দ করছেন। অপরদিকে সায়নী ঘোষ যিনি ইতিমধ্যেই হিন্দু বিরোধী মন্তব্য করে হিন্দু সমাজের মানুষের কাছে গ্রহণযোগ্যতা হারিয়েছেন , তাকে হিন্দু সমাজের মানুষ সেই ভাবে পছন্দ করছে না। আর যার ফলেই যাদবপুর কেন্দ্রে বিজেপির প্রার্থী অনির্বাণ গঙ্গোপাধ্যায় সায়নীর থেকে কিছুটা হলেও এগিয়ে যাচ্ছেন।

যাইহোক, গতকাল সোনারপুরে রামনবমী মিছিলের পরে, বিজেপি প্রার্থী যাদবপুর দুই নম্বর মন্ডল এইচ ব্লকের রিকশা স্ট্যান্ডে রাত ১০ টা নাগাদ পৌঁছন, সেই রাতেও ওই এলাকার লোকজন প্রার্থীকে দেখতে এবং তাঁর সাথে কথা বলতে এবং তাঁর বক্তৃতা শুনতে উপস্থিত ছিলেন। . পেয়েছেন মানুষের স্বতঃস্ফূর্ত ভালোবাসা। তবে সবচেয়ে লক্ষণীয় বিষয় ছিল ওই এলাকার ধনী থেকে গরিব সবাই অনির্বাণ গঙ্গোপাধ্যায়কে চাইছেন। কারণ মানুষ তার সম্পর্কে জানে, তিনি কে, তার শিক্ষাগত যোগ্যতা কী, তিনি দুর্নীতিগ্রস্ত কি না, কিন্তু উল্টো অনির্বাণ গঙ্গোপাধ্যায়ের চেয়ে তৃণমূল প্রার্থী সায়ানী ঘোষকে মানুষ ভালো জানে, যার কারণে মানুষ অনির্বাণ গঙ্গোপাধ্যায়কে স্বতঃস্ফূর্ত ভালোবাসায় ভরিয়ে দিচ্ছে। আর এই আবেগ, এই ভালবাস নিসন্দেহে তাঁর জয়ের পথকে যে সুগম করবে বিশ্লেসকদের এমনই অভিমত।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *