নিজস্ব সংবাদদাতা, কুমারগঞ্জ : ৫ মে ২০২২ তারিখে :- মুখ্যন্মন্ত্রী নেতৃত্বে সুপারনিউমারিক পদ নিয়ে ক্যাবিনেটের মিটিং এ উপস্থিত থাকা মুখ্যমন্ত্রী সহ সব মন্ত্রী ও আধিকারিকদের গ্রেফতারের দাবি জানিয়ে আক্ষরিক অর্থে আজ কুমারগঞ্জে বিজেপি প্রার্থী সুকান্ত মজুমদারের হয়ে সভা করতে এসে বোমা ফাটালেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। পাশাপাশি মুখ্যমন্ত্রী যে ভাবে তাকে ব্যাক্তিগত ভাবে আক্রমন করছেন সে নিয়েও মুখ্যমন্ত্রীকে হুশিয়ারী দিয়েছেন তিনি। বলেছেন মুখ্যমন্ত্রী রাজনীতি তে আসার আগে থেকে তার বাবা রাজনীতি করেন, তিনিও কাউন্সিলর হয়েছিলেন, আর উনি সেই পরিবার ও তাকে ব্যাক্তিগত আক্রমন করছেন। তার জবাব তিনি পেয়ে যাবেন কয়েক দিনের মধ্যে।প্রসংগত আজ উত্তর দিনাজপুরে তৃনমুল প্রার্থীর সমর্থনে সভা করতে এসে, নাম না করে শুভেন্দু অধিকারীকে আক্রমণ করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বললেন, ‘‘গদ্দার বলি ওকে, নামটাও মুখে আনতে ঘেন্না হয়।’’
পাশাপাশি তার দাবি আদালত যে নির্দেশ দিয়েছে তাতে তিনি চাকরি যাওয়াদের নিয়ে একটি কথাও বলবেন না, কিন্তু এদের যারা চাকরি দিয়েছিল সেই মমতা পার্থর তাদের গ্রেফতার চাই। তিনি এও বলেন আদালত সিবি আইকে এই ঘটনায় জড়িতদের নিজেদের হেফাজতে নিয়ে তদন্ত করার কথা যে বলেছে তাতে তিনি প্রয়োজনে তার কাছে থাকা ৫ মে ২০২২ এর ক্যাবিনেট মিটিংএর যাবতীয় সরকারি তথ্যের নথী সি বি আই কে দিয়ে সাহায্য করব। এরপরেই তিনি জোর গলায় মমতার নাম না না করে দাবি করেন উনি রায় শুনে উন্মাদের মত চিকার করছে, বলছে এই রায় মানিনা, আরে আপনাকে মানতে হবে না, এবার যা করার সিবি আই করবে।আমি আর সুকান্ত মিলে আপনাকে প্রাক্তন করব।এপ্রসংগে শুভেন্দু আরো বলেন মোদীজি ধুপগুড়ির সভার থেকে দুর্নীতি নিয়ে বলেই গেছিলেন, অর্দ্ধেক জেলে গেছে, বাকি রাও জেলে যাবে। এরপরেই সভায় উপস্থিত হাজার ৩০ জনতার উদ্দেশ্যে চীৎকার করে বলেন মাফলার গেছে জেলে এবার বাকিটা জনতাই উত্তর দিয়ে দেয় হাওয়াই চটি র পালা, শুভেন্দু জনতার সাথে শুধু গলা মেলান।
এসএসসিতে বেআইনি নিয়োগ করতে অনেক অতিরিক্ত পদ (সুপারনিউমেরিক পদ) তৈরি করা হয়েছিল বলে অভিযোগ। রাজ্য সরকারই সেই অনুমোদন দিয়েছিল। সোমবার কলকাতা হাই কোর্ট জানিয়েছে, সিবিআই রাজ্য সরকারের সঙ্গে যুক্ত সেই ব্যক্তিদের বিরুদ্ধেও তদন্ত করবে, যাঁরা অতিরিক্ত পদ তৈরির অনুমোদন দিয়েছিলেন এবং প্রয়োজনীয় সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। প্রয়োজনে ওই ব্যক্তিদের হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদও করতে পারবে কেন্দ্রীয় সংস্থা, জানিয়েছে আদালত।
এছাড়াও এদিনের সভা থেকে শুভেন্দু তার ভাষনে মমতাকে আক্রমন করে বলেন উনি ধর্মের নামে ভয় দেখিয়ে ভোট করাতে চান। কিন্তু আপনারা কি কখনও দেখেছেন বিজেপি ধর্মের সুরসুরি ভয় দেখিয়ে ভোটের বাজারে ঘুরে বেড়াচ্ছে। আসলে উনি ভয় পেয়েছেন উনার পায়ের নিচের মাটি সরে গেছে। বালুরঘাটে আর বুনিয়াদপুরে মোদিজি ও অমিত জির সভায় লোক দেখে পিসি ভাইপো দিশেহারা। তাই ধর্ম আর লক্ষীর ভান্ডার নিয়ে ভোট চাইছে। বলছে বিজেপি ক্ষমতায় এলে লক্ষীর ভান্ডার বন্ধ করে দেবে, শুভেন্দু এরপরেই দাবি করেন বিজেপি ক্ষমতায় আসার পরদিন থেকে লক্ষীর ভান্ডারের নাম পালটে অর্নপুর্না ভান্ডার হবে, একহাজারের বদলে ৩ হাজার করে অর্নপুর্নার ভান্ডারে সেই টাকা মিলবে। শুধু অর্নপুর্না ভান্ডার নয় সরকারি যত রকম সেবা মুলক প্রকল্প চালু রয়েছে তাও তিন হাজার করে করা হবে বলে কথা দিয়ে যাচ্ছি। সখ্যালঘুদের তেজপাতার মত তরকারিতে ব্যবহার করছেন মমতা বলে অভিযোগ করেন কুমারগঞ্জের মত সংখ্যালঘু এলাকায়।যদিও আজ শুভেন্দুর সভায় প্রচুর মুসলিম মহিলা ও সংখ্যালঘু মানুষজনদের উপস্থিতি দেখা গেছে। তাদের উদ্দেশ্যে বলেন তৃনমলের উদ্দেশ্যই সংখ্যালঘু দের উপর অত্যাচারিত করা।তিনি বগটুই কান্ড থেকে গার্ডেনরীচে বহুতল ভেংগে পড়া থেকে বিগত পঞ্চায়েত নির্বাচনে হিংসাতে মৃত্যুর ঘটনায় কাদের বেসজি প্রান গেছে সে কথা স্মরন করিয়ে দিয়ে ওই তেজপাতা প্রসংগ টেনে বলেন তেজপাতা যেমন তরকারিতে ব্যবহার করা যায় কিন্তু খাওয়া যায় না, তৃনমুল সেভাব্রি তাদের ব্যবহার করছে।অথচ মোদীজি সবাইকে সমান নজরে দেখে থাকেন বলে উজলা গ্যাস, বিদ্যু, করোনা ভ্যাকসিন, ফ্রিতে রেশন দিয়ে যাচ্ছেন আগামীতে সোলার বাতি বাড়ির জন্য, পাইপ যোগে গ্যাস কানেকশন আরো অনেক কিছু মোদীজির গ্যারান্টির কথা মনে করিয়ে দিয়ে ঝড়ে বেগে এদিনের সভা শেষ করে ইটাহারে সভা করতে চলে যান। সংগে সুকান্ত কে নিয়ে।