পূর্ব মেদিনীপুর, নিজস্ব সংবাদদাতাঃ- এসএসসি দুর্নীতির জেরে চাকরিহারা হয়েছেন অনেক যোগ্য শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মী। এবার আরও বেশ কয়েকটি দুর্নীতি প্রমাণ হবে বলে বার্তা শুভেন্দু অধিকারীর।স্বাভাবিকভাবেই চর্চার বিষয় হয়ে দাঁড়াল, তাহলে কি আরও অনেকে চাকরিহারা হবেন? রবিবার পূর্ব মেদিনীপুর জেলার নন্দকুমারের জনসভা থেকে মমতা ও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে একযোগে তীব্র কটাক্ষে বিঁধলেন শুভেন্দু। এই দিন তিনি বলেন, এসএসসি তো পহেলা ঝাঁকি হ্যায়, পিএসসি, মিউনিসিপ্যালিটি, ফায়ার ব্রিগেড বাকি হ্যায়। পঞ্চায়েত ভোটে শাসক দলের হয়ে অনেক ভিডিও ভোট লুঠ করেছিলেন বলে বিজেপির অভিযোগ। শুভেন্দু বলেন, নাম্বার ট্যাম্পারিং করে অনেক চিটিংবাজ বিডিও হয়েছে।
এরপরই শুভেন্দু বলেন, ভাবছেন অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় ছেড়ে দেবেন? এখানেও বিডিও ছিলেন শানু বক্সী নামে একজন। এখনও সন্ধ্যা হয়নি। পিসি-ভাইপোকে কী করি দেখতে থাকুন। পিসি অনেগুলো মিটিং করেছেন পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুরে। আমাকে উনি নাকি তৈরি করেছেন। আমাকে কেউ তৈরি করলে তিনি সুশীল ধাড়া, কুমুদিনী ডাকুয়া। আমার অভিভাবিকা আভা মাইতি।শুভেন্দু বলেন, ১৯৯৫ সালে কাউন্সিলর হই। তার আগে ১৯৮৮ সালে কলেজে ইউনিয়নের জিএস। কলকাতা থেকে লাফিয়ে নন্দীগ্রামে এসেছিলেন। তিন বছর আগের কথা। ৬৫ হাজার মুসলিম ভোট ছিল। ভেবেছিলেন তা পেলে শুভেন্দু অধিকারীকে হারিয়ে দেওয়া যাবে। হেরে বাড়ি গিয়েছেন। যতদিন বেঁচে থাকবেন, কানের কাছে বাজবে হেরেছি, হেরেছি, হেরেছি। শুভেন্দুর কথায়, সকলের এখন একটাই প্রশ্ন জেলে কবে যাবেন? মাফলার গিয়েছে, হাওয়াই চটির পালা। মমতাকে ঠগি পিসি বলেও কটাক্ষ করেন শুভেন্দু। তিনি বলেন, আরামের জীবনযাপন করছেন! বাইরে ৬টা টালি, পিছনে জোড়া জোড়া এসি। ভাইপোর এসকেলেটর সিঁড়ি, কোটি টাকার ঝাড়বাতি। আমেরিকার যেখানে চিকিৎসা করান ১ কোটি টাকা জমা দিয়ে নাম এন্ট্রি করতে হয়। ২০১১-র আগে কোথায় ছিল ঠাঁট-বাট?শুভেন্দু বলেন, সভায় বলেছেন নন্দীগ্রাম আন্দোলনে বাপ-ব্যাটা কোথায় ছিল? আমি বলি, মা-ব্যাটা কোথায় ছিলেন? ৩ জানুয়ারি আন্দোলনের দিন আমি ছিলাম বামনচকে। ৭ জানুয়ারি সেলিমের দেহ ভাঙাবেড়া ব্রিজের নীচ থেকে আমি মোটরসাইকেল চালিয়ে গিয়ে তালিয়ে তুলেছি। আপনি ক্যাডবেরি, স্যান্ডউইচ খেয়ে অনশনের নামে নার্সিংহোমে ভর্তি থেকে টাটাকে তাড়াতে ব্যস্ত ছিলেন।
শুভেন্দু বলেন, আদালত যোগ্য ও অযোগ্যদের তালিকা চেয়েছিল। ৫৪০০ অযোগ্যের জন্য ২০ হাজারকে বলি দিয়েছে। যোগ্যদের নিয়ে পিসির চিন্তা নেই। অযোগ্যদের বাঁচাতে ১৮-২০ লাখ টাকা করে তুলেছে। বিচারপতি দেবাংশু বসাক জানতে চেয়েছেন, অতিরিক্ত শূন্য পদ কারা তৈরি করেছিল? তাঁদের হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করতে পারবে সিবিআই। ওই সিদ্ধান্ত হয়েছিল ২০২২ সালের ক্যাবিনেটে। যেখানে সভানেত্রী ছিলেন ঠগি পিসি।