রামনগর এলাকার সোনপুরের আনন্দ নিকেতন নার্সারী স্কুলে চলছে প্রচুর বৃষ্টিপাত, কি শুনে অবাক হলেন।

দীঘা-পূর্ব মেদিনীপুর, নিজস্ব সংবাদদাতাঃ- চারিদিকে তীব্র গরম। রামনগর এলাকার সোনপুরের আনন্দ নিকেতন নার্সারী স্কুলে চলছে প্রচুর বৃষ্টিপাত। কি শুনে অবাক হলেন। অভিনব ভাবে কৃত্রিম বৃষ্টিপাত ঘটিয়ে তাক লাগিয়ে দিয়েছে এই বিদ্যালয়। প্রচন্ড গরমে ছাত্র-ছাত্রীদের পঠন-পাঠনের জন্য বিভিন্ন পদ্ধতি অবলম্বন করেছে বিভিন্ন বিদ্যালয়। এবার গরমে জলের ফোয়ারার মাধ্যমে বিদ্যালয়ের ছাদে বসানো হয়েছে বিশেষ ধরনের জলের ফোয়ারা। যা থেকে অনবরত ঝরছে জল বৃষ্টির মত। ছাত্র-ছাত্রীরা প্রচন্ড গরমে ভাবছে বাইরে প্রচুর বৃষ্টি। বাইরে প্রচুর তাপমাত্রা থাকলেও বিদ্যালয়ের মধ্যে প্রচুর ঠান্ডা। ছাত্রছাত্রীরা নির্দ্বিধায় পঠন পাঠন করতে পারছে।
কৃত্রিম বৃষ্টি রামনগরের স্কুলে! গরম থেকে মুক্তি পেতে আনন্দ নিকেতন স্কুলে অবাক করা কান্ড।
তীব্র গরম ও রোদের হাত থেকে রেহাই পেতে বুদ্ধিমত্তার পরিচয় দিয়েছে এই বিদ্যালয়। কৃত্রিম জলের ফোয়ারা সৃষ্টি করে আলোড়ন ফেলে দিয়েছে। তিনতলা ঘরের টিনের চালায় ওয়াটার কুলিং সিস্টেম লাগিয়ে কৃত্রিম বৃষ্টি তৈরি করে শীতল পরিবেশ তৈরি করা হয়েছে। রামনগরের সোণপুর উপকূলবর্তী এলাকায় দাবদাহে জনজীবন যেখানে অতিষ্ট এবং তাপমাত্রা ৩৫ থেকে প্রায় ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস ছুঁই ছুঁই সেখানে ওয়াটার কুলিং সিস্টেমের কারণে বিদ্যালয়ের ভিতরের তাপমাত্রা ২৮-২৯ ডিগ্রী সেলসিয়াস।

এছাড়াও তীব্র গরমে যেখানে জনজীবন অতিষ্ট সেখানে প্রাকৃতিক শীতল পরিবেশ পেয়ে খুশি পড়ুয়ারা।বৃষ্টিহীন দিনে টিনের চালে বৃষ্টির ঝুমঝুম আওয়াজ। এসি নেই, তবুও এই গ্রীষ্ম মৌসুমে বিদ্যালয়ের ভিতর শীতল পরিবেশ। ঢেউটিন বেয়ে ঝরছে বৃষ্টির মত জল। আর এমন নির্মল ঠান্ডা পরিবেশে বসে পড়ছে ছাত্র ছাত্রীরা।

বিদ্যালয় চালু করা হয়েছে ওয়াটার বেলও। নির্ধারিত সময় সময়ে ছাত্র-ছাত্রীদের জল পান করার বার্তা দেও য়া হচ্ছে। খুশি ছাত্র-ছাত্রী থেকে অভিভাবক অভিভাবিকারা।

আনন্দ নিকেতন নার্সারি স্কুলে এমন অভিনব আয়োজন পথ দেখাচ্ছে বাকি স্কুলগুলোকে। গরমেও ছাত্র-ছাত্রীদের অভিনব আয়োজন করে গঠন-পাঠন করা যায়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *