শান্তিপুর নিবাসী এক গ্রামীণ চিকিৎসকের পথ দুর্ঘটনায় মৃতদেহ ময়নাতদন্ত ছাড়াই পৌঁছালো শান্তিপুরে।

নদীয়া, নিজস্ব সংবাদদাতা:-  পেশায় চিকিৎসক কিন্তু মৃত্যুর পরবর্তীতে তারই মৃতদেহ ময়নাতদন্ত হলো না, মৃতদেহ পাঠিয়ে দেওয়া হল সোজা বাড়িতে। আর এই বিষয়টি নিয়ে যথেষ্ট চাঞ্চল্য এবং হতবাক করছে সকলকে।
যথেষ্ট বেদনাদায়ক এবং অবাক করা ঘটনাটি নদীয়ার শান্তিপুর শহরের ২২ নম্বর ওয়ার্ডের নবীন পল্লীর সেখানকার বাসিন্দা গোপীনাথ টিকাদার ২৬ বছরের এক গ্রামীণ চিকিৎসক, প্রথমে দিল্লিতে কাজ করতেন তারপর উত্তর প্রদেশের বড়লী উদয়পুরে চিকিৎসকের কাজ শুরু করেন এক নিকট আত্মীয়র সহযোগিতায় যার নার্সিংহোম সহ চিকিৎসা বিষয়ে দীর্ঘদিনের আধিপত্য দিল্লিতে এবং সেই সুবাদে উত্তর প্রদেশেও। শান্তিপুরের একই এলাকার অনুপ বিশ্বাসও সেখানে গোপীনাথ এর সাথে থেকে ডাক্তারি শিখে গ্রামীণ চিকিৎসা করে। পরিবার সূত্রে জানা যায় গত শুক্রবার রাতে কর্মস্থল থেকে তারা একটি মোটরসাইকেলে করে বাড়িতে ফিরছিলেন ফিরছিলেন তখন পথে একটি গরুকে ধাক্কা দিয়ে ছিটকে পড়েন এবং নীল রঙের একটি বাস তাদের দুজনকেই পিষে দিয়ে যায়। এর মধ্যে গোপীনাথ মারা যায় ঘটনার স্থলেই অনুপ বিশ্বাসকে স্থানীয় একটি বেসরকারি নার্সিংহোমে রাখা হয়। এবং অনুপ এর কাছ থেকে ফোন নাম্বার জোগাড় করে পরের দিন সকাল ভোর পাঁচটা নাগাদ গোপীনাথের বাড়িতে ফোন করে জানানো হয় মৃত্যুর কথা। দিল্লি নিবাসী চিকিৎসার সাথে জড়িত নিকট আত্মীয় পৌঁছায় ওই নার্সিংহোমে তিনি শান্তিপুরে মৃতদেহ পাঠানোর ব্যবস্থা করে। দুর্ঘটনা জড়িত কারণে মৃত্যু বলে ডাক্তারি সার্টিফিকেট পাঠালেও ময়নাতদন্ত হয়নি সেখানে।
দূরের পথ অনেক সময় লাগবে তাই পরিবারের পক্ষ থেকে কেউ সেখানে না গেলেও মৃতদেহ আজ দুপুরে এসে পৌঁছায়।
মৃতদেহ নিয়ে শান্তিপুর স্টেট জেনারেল হাসপাতালে পরিবারবর্গ উপস্থিত হয়ে ময়নাতদন্ত করতে আগ্রহী হয়। কিন্তু হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানায়, ময়নাতদন্ত থানার দায়িত্বে এক্ষেত্রে যেহেতু উত্তরপ্রদেশের মারা গেছে সেখানকার থানা এই দায়িত্ব নিতে পারে তবে শান্তিপুর থানায় এ ব্যাপারে অন্য কোন উপায় জানা থাকলে বলবে তবে শান্তিপুর হাসপাতাল কোনভাবেই এটা করতে পারে না। পরিবারের সমস্যা মেটাতে হাসপাতালে আসে বাইশ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর বুলা খাতুন কারিকর। তিনি ও তার উচ্চ নেতৃত্ব কে জানান বিষয়টি । শান্তিপুর জেনারেল হাসপাতাল মৃতদেহ দেখার ভিত্তিতে শান্তিপুর থানাকে রিকুইজিশন দেয় ময়না তদন্তের । যদিও ডেথ সার্টিফিকেট উত্তরপ্রদেশের ই কোন এক ডাক্তারের থাকলো।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *