আমরা আজকের এই নির্বাচনে যে শতাংশের ফলাফল তাতে খুশি, প্রচুর মানুষ পশ্চিম বাংলায় ভারতীয় জনতা পার্টির উপর আস্থা রেখেছেন : শুভেন্দু অধিকারী।

পূর্ব মেদিনীপুর, নিজস্ব সংবাদদাতাঃ- লোকসভা নির্বাচনে বিশেষ টার্গেট ছিল বিজেপির। কিন্তু সেই টার্গেট পূরণ হয়নি। প্রাথমিক ভাবে বাংলা থেকে ৩৫ আসনের লক্ষ্যের কথা জানিয়েছিল বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব। ধীরে ধীরে সংখ্যাটা কমতে থাকে। গণনার পর সাংবাদিক সম্মেলনে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা তথা বিজেপির শীর্ষসারির নেতা শুভেন্দু অধিকারী নিজেদের টার্গেট এবং তা পূরণ না হওয়ার নানা কারণ তুলে ধরেন। তবে সার্বিক ভাবে দেশের ফলে সন্তুষ্টির কথাই জানিয়েছেন শুভেন্দু। বাংলার যে সমস্ত মানুষ, বিজেপির উপর আস্থা রেখেছেন, সকলের প্রতি কৃতজ্ঞতাও জানিয়েছেন। শুভেন্দু অধিকারী প্রত্যাশা পূরণ না হওয়ার মূল কারণ হিসেবে লক্ষ্মীর ভাণ্ডার ‘আতঙ্কের’ কথা তুলে ধরেছেন।রাজ্যের শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেসের তুলনায় একটি আসন হলেও বেশি পাবেন, এই বিশ্বাস ছিল বিজেপির। সেই কথাই জানান শুভেন্দু। বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারও একই লক্ষ্যের কথা বলেছিলেন, সেটাও তুলে ধরেন শুভেন্দু। তিনি বলেন, ‘আমরা যে লক্ষ্যস্থির করেছিলাম, বাংলায় সেই সংখ্যা পাইনি। কিন্তু আমরা আজকের এই নির্বাচনে যে শতাংশের ফলাফল তাতে খুশি। প্রচুর মানুষ পশ্চিম বাংলায় ভারতীয় জনতা পার্টির উপর আস্থা রেখেছেন। এবং তাঁদের কাছে তৃণমূল কংগ্রেসের বিকল্প শক্তি হিসেবে ভারতীয় জনতা পার্টি ২০১৯ এবং ২০২১ সালেও স্বীকৃত ছিল এবং আজকেও স্বীকৃতি পেয়েছে।’ লক্ষ্য পূরণ না হওয়ার ক্ষেত্রে শুভেন্দু কারণ হিসেবে ব্যাখ্যা করেন, ‘আমরা লক্ষ্য করেছি, যে ভয় ভীতির পরিবেশ, কয়েক লক্ষ ভোটারকে আটকে দেওয়া, পুলিশি সীমাহীন অত্যাচার, জুলুম, মিথ্যা মামলা এসব কারণ রয়েইছে। মুখ্যমন্ত্রী সহ তাঁর দলের ছোট-বড় নেতারা প্রকাশ্যে বলেছেন যে তৃণমূল কংগ্রেস যদি জিততে না পারে, নানা প্রকল্প তথা বেনিফিটগুলো বন্ধ করে দেবে। তাঁরা উদাহরণ হিসেবে সাগরদীঘি উপনির্বাচনে তৃণমূল কংগ্রেসের পরাজয়ের পরে লক্ষ্মীর ভণ্ডার বন্ধের উদাহরণও দিয়েছেন। তাঁরা বলেছেন, আপনারা এই যে হাজার-বারোশো টাকা পাচ্ছেন, সেগুলো আমরা বন্ধ করে দেব। সাধারণ প্রান্তিক মানুষ, গ্রামের মা-দিদি বোনের মধ্যে একটা আতঙ্কের পরিবেশ তৈরি হয়েছিল।’বাংলায় প্রত্যাশা অনুযায়ী ফল না হওয়ার কারণ হিসেবে এগুলিই মূলত বলেন শুভেন্দু অধিকারী। বিজেপির তরফে ‘আতঙ্ক’ কাটানোর চেষ্টা হয়েছিল, সে কথাও জানান। বলেন, ‘আমরা বিজেপি রাজ্যগুলোর উদাহরণ দিয়েছি, পশ্চিমবঙ্গে ডাবল ইঞ্জিন সরকার তৈরি হলে আরও বেশি সহযোগিতা করব, জনমুখী প্রকল্পগুলো চালু থাকবে, অর্থনৈতিক স্বনির্ভরতার লক্ষ্যে আমরা কাজ করব। আমাদের মাননীয় মন্ত্রী অমিত শাহজীও একটি সভা থেকে বলে গিয়েছিলেন। এই যে কেন্দ্রীয় প্রকল্পগুলো, এগুলো আমরা বন্ধ করব না, এর অর্থ বৃদ্ধি ঘটবে।’

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *