মহিলার চাষের জমিতে ফলন্ত পাটের গাছে বিষ ঢেলে ফসল নষ্ট করার অভিযোগ তৃণমূল আশ্রিত এক যুবকের বিরুদ্ধে।

নদীয়া, নিজস্ব সংবাদদাতা:-  মহিলার চাষের জমিতে ফলন্ত পাটের গাছে বিষ ঢেলে ফসল নষ্ট করার অভিযোগ তৃণমূল আশ্রিত এক যুবকের বিরুদ্ধে,মহিলার অভিযোগ ঘটনায় প্রশাসনের দ্বারস্থ হয়েও নির্বিকার প্রশাসন,সাহায্য করছে না পঞ্চায়েত প্রধানও। লোন নিয়ে চাষ করে সব হারিয়ে দেউলিয়া মহিলা চাষী ঘুরে বাড়াচ্ছে প্রশাসনের দরজায়। খোদ প্রধানের গ্রামেই মহিলার চাষ করা পাটের জমিতে বিষ দিয়ে ফসল নষ্ট করার অভিযোগ এলাকার এক যুবকের বিরুদ্ধে। ঘটনা নদীয়ার শান্তিপুর থানার অন্তর্গত হরিপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের চৌধুরী পাড়া এলাকার। ওই এলাকার বাসিন্দা রানী মহাতোড় ওভিযোগ নদীর চড়ায় নিজেদের জমিতে পাট চাষ করেছিলেন। তবে বিগত ৬দিন আগে এলাকারই এক যুবক নাম কুন্দন মাহাতো রানী দেবীর জমিতে গিয়ে পুরো জমির ফলন্ত পাটে বিষ দিয়ে সমস্ত পাটগাছ মেরে ফেলেছেন।পরবর্তীতে রানী দেবী ওই যুবক কে প্রশ্ন করলে ওই যুবক কুন্দন মাহাতো তাকে জানায়, যতবার তিনি ওই জমিতে চাষ করবেন ততবার বিষ দিয়ে ফসল নষ্ট করবে শে। ঘটনায় রীতিমতো সর্বষ্য খুইয়ে এখন মাথায় হাত ওই মহিলা চাষী। পরবর্তীতে তিনি শান্তিপুর থানায় অভিযোগ জানায় কুন্ডনের বিরুদ্ধে। পুলিশ আশ্বাস দিলেও এখনো কোনোরকম পদক্ষেপ করেনি বলে অভিযোগ রানী দেবীর। তবে ওই কুন্দন মাহাতো তৃণমূল কর্মী বলে তার বিরুদ্ধে কোনো পদক্ষেপ নিচ্ছে না কেও এমনই অভিযোগ ওই মহিলা চাষীর। তবে এখন বিচারের আশায় পথ চেয়ে তিনি।যদিও এই ঘটনার কথা স্বীকার করেন পঞ্চায়েত প্রধান বীরেন মাহাতো। তিনি জানান, উক্ত ঘটনা তিনি জানেন। তবে কে বা কারা করেছে সেটা জানা নেই। তবে যেই করুক চরম ঘৃণ্য কাজ করেছে। দোষীদের স্বাস্তি হওয়া প্রয়োজন। যদিও অভিযুক্ত যুবক তৃণমূল আশ্রিত প্রসঙ্গে প্রধান জানান, এখানে তৃণমূল -বিজেপি কোনো ব্যাপার না। তিনি সবাইকে সমান চোখে দেখেই কাজ করেন, কারণ তিনি জনগণের বিচারেই প্রধান হয়েছেন। তবে প্রধান আরও জানান অভিযুক্ত ওই যুবকের সাথে তিনি নিজে কথা বলেছেন, যদিও ওই যুবক ঘটনা অস্বীকার করেছে। তবে এই বিষয়ে উভয় পক্ষের সাথে কথা বলে অসুবিধার সুরাহা তিনি করবেন। তবে এই ঘটনায় তৃণমূলকে কটাক্ষ করতে ছাড়েনি বিজেপি। হরিপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের বিরোধী দলনেতা সদানন্দ হালদার জানান, এই ঘটনা তাঁদের কানেও এসেছে। তবে তৃণমূল তোলাবাজি এবং দুর্নীতির সাথে যুক্ত তাই ওই এলাকায় প্রধানের একটি বিশেষ দল আছে যারা মানুষের উপর অত্যাচার করছে। তারা এলাকার মানুষদের ভয় দেখিয়ে তাঁদের সাথে অত্যাচার করে। মানুষ ভয়ে আতঙ্কে কথা বলতে পারে না। তবে প্রধানের উচিত ওই মহিলার পাশে দাঁড়িয়ে তার ক্ষতিপূরণ পাইয়ে দেওয়ার। তবে যেই এই কাজ করেছে তার দৃষ্টান্ত মূলক স্বাস্তি হওয়া উচিত। যদিও এই বিষয়ে অভিযুক্তর সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলে তার সঙ্গে যোগাযোগ করে ওঠা সম্ভব হয়নি।
তবে এখন দেখার কতদিনে ওই মহিলা চাষী তার ক্ষতির বিচার পান। নাকি প্রশাসনের দরজায় দরজায় ঘুরেই বিচার পাওয়ার জন্য বসে থাকতে হয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *