পূর্ব বর্ধমান, রামকৃষ্ণ চক্রবর্তীঃ-দেবতার নামে ভন্ডামীর অভিযোগ! বড়সড় প্রতারণাচক্র হাতেনাতে ধরল স্থানীয়রা। ঘটনা পূর্ব বর্ধমান জেলার শহর বর্ধমানের ইছলাবাদের কিরণ সংঘ এলাকার। অভিযোগ এলাকারই এক মহিলা তিনি কৃষ্ণ কালীর সাধক নামে পরিচিতি দিতেন। কৃষ্ণ কালীর উপাসনার নামে বিভিন্ন উপায়ে বহু টাকা উপার্জন করতেন। বহুদূরান্ত থেকে আসতেন সাধারণ মানুষ জন। তার নাকি আছে একটা ইউটিউব চ্যানেলও। অভিযুক্ত সাধিকার নাম মঙ্গলা কোৱা। অভিযুক্ত সাধীকার ভন্ডামি অবশেষে সামনে আনলো স্থানীয় এলাকার মানুষজন। ভন্ডামি হাতেনাতে ধরতেই ভাঙচুর করে উত্তেজিত জনতা। মন্দির থেকে ছুড়ে ফেলা হয় মন্দিরে থাকা কাপড় গামছা সহ বিভিন্ন জিনিসপত্র। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছায় বর্ধমান থানার পুলিশ প্রশাসন। আটক করা হয় অভিযুক্ত মহিলাকে অর্থাৎ কৃষ্ণ কালির সাধিকা-কে।
স্থানীয়দের অভিযোগ, যিনি নিজেকে কৃষ্ণ কালীর সাধিকা বলছেন, তিনি নিজে কোন একটি চিট ফান্ড সংস্থার সাথে যুক্ত ছিলেন। পরে সেই সংস্থা থেকে তাড়িয়ে দিলে অভিযুক্ত মঙ্গলা কোৱা দেবতার নামে ভন্ডামি শুরু করেন। অভিযুক্ত মহিলার স্বামী একজন ফুচকা বিক্রেতা বলেও দাবি স্থানীয়দের। স্থানীয়দের আরো অভিযোগ, ওই মহিলা বলতেন শ্রী রামকৃষ্ণ নাকি মাকে পাননি, তিনি কৃষ্ণ কালীকে পেয়েছেন। চিটিং বাজি করে বহু মানুষকে প্রতারণা করে বহু জমি জায়গার মালিকও হয়েছেন অভিযুক্ত কালি সাধিকা।
অবশেষে ফাস হলো কালী সাধিকার ভন্ড গিরি, অভিযুক্ত মঙ্গলা কোরার চিটিং কীর্তি।