চেয়ারম্যানের বাড়ি থেকে ঢিল ছোঁড়া দুরত্বে জলাশয় ভরাট নিয়ে সরব।

বালুরঘাট , দক্ষিণ দিনাজপুর:- বালুরঘাট পুরসভার চেয়ারম্যান অশোক মিত্রের ওয়ার্ডেই চলছে জলাশয় ভরাট। প্রসঙ্গত, বালুরঘাটের ৫ নম্বর ওয়ার্ড। সেই ওয়ার্ডের কাউন্সিলরই বালুরঘাট পুরসভার চেয়ারম্যান।
চেয়ারম্যানের বাড়ি থেকে ঢিল ছোঁড়া দুরত্বে জলাশয় ভরাট কিভাবে হয়, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলে সরব হয়েছে বিরোধীরা। এমনকি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দুইদিন আগেই এনিয়ে সরব হয়েছেন। ফলে এনিয়ে মহকুমাশাসকের কাছে লিখিত অভিযোগ দায়ের করল বিজেপি। অভিযোগ, রাতের অন্ধকারে কিংবা মাঝেমধ্যেই ওই জলাশয়ে ট্রাক্টর করে আবর্জনা ও পরিত্যক্ত নির্মাণ সামগ্রী ফেলা হচ্ছে।
যদিও বা ওই জলাশয় ব্যক্তিগত সম্পত্তি বলে দাবি করেছে, বাড়ির মালিক জয়দেব পাল। তবে বেআইনিভাবেই ভরাট হচ্ছে বলে বিজেপির অভিযোগ।

ডোবা ভরাটের অভিযোগ পেয়ে এদিন দুপুরে বালুরঘাট পৌরসভার চেয়ারম্যান অশোক মিত্র এবং বালুরঘাট মহকুমা শাসক সুব্রত কুমার বর্মন এলাকা পরিদর্শনে যান। বাড়ি মালিক কে মাটি ভরাটের কাজ বন্ধ করতে নির্দেশ দেন। পরবর্তীতে জমির চরিত্র অনুযায়ী ও মাপজোক করে আইন অনুযায়ী পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে।

এবিষয়ে যার বিরুদ্ধে অভিযোগ তিনি জলাশয় ভরাটের কথা স্বীকার করেছেন। এবিষয়ে সেই ব্যক্তি জয়দেব পাল বলেন, শুধুমাত্র আমাদের রাস্তা জন্য এটি ভরাট করেছি। কারণ রাস্তা না হলে যাতায়াত করা মুশকিল।

এবিষয়ে বালুরঘাট টাউন মন্ডল সভাপতি সমীর প্রসাদ দত্ত অভিযোগ করে বলেন, চেয়ারম্যানের মদতেই চেয়ারম্যানের বাড়ির কাছে একটি খাঁড়ি ভরাট করা হচ্ছে। আমাদের মনে হয়, কাটমানি নিয়েই এই ভরাট চলছে। এটা নিয়ে আমরা এসডিওর কাছে অভিযোগ দায়ের করেছি।

এবিষয়ে বালুরঘাট পুরসভার চেয়ারম্যান অশোক মিত্র বলেন,
বিজেপি নিজের দুর্নীতি ঢাকতে পুরসভার বিরুদ্ধে কুৎসা অপপ্রচার করে থাকে। তারা যে জায়গার কথা বলছে, সেটি ব্যক্তিগত সম্পত্তি। শরিকি সমস্যা রয়েছে। জলাশয় বলতে সেখানে কিছু নেই। এই ব্যাপারে এদিন ভরাটের কাজ বন্ধ করতে বলা হয়েছে। পরবর্তীতে আইনানুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

অন্যদিকে, সদর মহকুমা শাসক সুব্রত কুমার বর্মন পুরো ঘটনাটি এদিন খতিয়ে দেখেন ভুমি দপ্তরের আধিকারিক দের নিয়ে। পরবর্তীতে জমির চরিত্র অনুযায়ী পদক্ষেপ নেওয়া হবে বলেই আশ্বাস দিয়েছেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *