পূর্ব বর্ধমান, রামকৃষ্ণ চক্রবর্তীঃ-স্কুল ছাত্রী শ্লীলতাহানির ঘটনায় ধুমধুমার পূর্ব বর্ধমান জেলার খণ্ডঘোষ থানার অন্তর্গত আমড়াল গ্রাম। অভিযোগ আমড়াল প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক মহাদেব কুণ্ডু ওই বিদ্যালয়ের চতুর্থ শ্রেণীর এক ছাত্রীকে শীলতাহানি করেন।এরপর ওই ছাত্রী ঘটনার কথাটি স্কুল ছুটির পর তার পরিবারের লোকজনদের জানায়। পরের দিন অর্থাৎ বৃহস্পতিবার আমড়াল প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক মহাদেব কুণ্ড বিদ্যালয়ে এসে পৌঁছাতেই ওই ছাত্রীর অভিভাবক অভিভাবিকা সহ এলাকার সাধারণ মানুষ অভিযুক্ত শিক্ষকের উপর চড়াও হয়ে অভিযুক্ত শিক্ষককে মারধর করতে থাকেন। ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছান খণ্ডঘোষ থানার পুলিশ। খণ্ডঘোষ থানার পুলিশ অভিযুক্ত ঐ শিক্ষককে আটক করে খণ্ডঘোষ থানায় নিয়ে আসতে গেলে গ্রামবাসীরা পুলিশকে বাধা দেন। শিক্ষকের উপর চড়াও হয়ে শিক্ষককে মারধর করেন গ্রামবাসীরা। পাশাপাশি পুলিশ তাদের বাধা দিতে গেলে পুলিশের উপরেই চড়াও হন গ্রামবাসীরা। পুলিশের গাড়ি লক্ষ্য করে ইট ছুড়তে শুরু করেন গ্রামবাসীরা। পুলিশ কর্মীদের মারধর করেন এবং পুলিশের গাড়ির কাঁচ ভেঙে ফেলেন গ্রামবাসীরা বলে জানা যায় পুলিশ সূত্রে। পরবর্তী সময়ে খণ্ডঘোষ থানার বিশাল পুলিশ বাহিনী ঘটনাস্থলে পৌঁছে অভিযুক্ত শিক্ষককে আমড়াল প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে আটক করে নিয়ে আসেন খণ্ডঘোষ থানায়। ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে খণ্ডঘোষ থানার পুলিশ ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকা ব্যক্তিদের চিহ্নিত করে বৃহস্পতিবার রাত্রে আমরাল গ্রাম থেকে দুইজন মহিলা ও আট জন পুরুষ সহ মোট ১০ জনকে গ্রেফতার করে। পুলিশ সূত্রে জানা যায়,পুলিশের কাজে বাধা দেওয়া, পুলিশ কর্মীদের উপর চড়াও হয়ে মারধর করা, পুলিশ ভ্যানে ভাঙচুর চালানোর অভিযোগে মোট ১০ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। দশ জনের বিরুদ্ধে নির্দিষ্টধারায় মামলা রুজু করে তাদেরকে শুক্রবার বর্ধমান আদালতে পেশ করা হয়েছে। পাশাপাশি চতুর্থ শ্রেণীর ছাত্রীকে শ্লীলতাহানি করার অভিযোগে অভিযুক্ত শিক্ষক মহাদেব কুণ্ডুর বিরুদ্ধে নির্দিষ্ট ধারায় মামলা রুজু করে তাকেও শুক্রবার বর্ধমান আদালতে পেশ করা হয়েছে।