স্ত্রী’র কোলে এক বছর ছয় মাসের সন্তান, না পারে বসতে দাঁড়াতে, না পায় দেখতে, অসুস্থ সন্তানকে নিয়ে অসহায় জীবনযাপন বাপের বাড়িতে।

আবদুল হাই, বাঁকুড়াঃ- এই মনুষ্য সমাজে হাজারো সমস্যার মধ্যে দিয়ে দিন যাপন কোটি কোটি পরিবারের, সার্চলাইট হয়তো সবার উপর পড়ে না, আবার খবরের শিরোনামেওৎআসে না সব খবর,আর যে সমস্ত খবর শিরোনামে আসে সেগুলোর মধ্যে এমন কিছু খবর থাকে যে গুলো ভীষণ বেদনাদায়ক এবং হৃদয়বিদারক আর এরকমই একটি খবরের উপরেই সাংবাদিকের ক্যামেরা হয়েছে অন। ঘটনাটি বাঁকুড়া জেলার ইন্দাস ব্লকের করিশুন্ডা গ্ৰামের।অসুস্থ সন্তানকে নিয়ে অসহায় জীবনযাপন বাপের বাড়িতে, কারণ তাকে ত্যাগ করেছে স্বামী , অপরাধ তার সন্তান রুগ্ন, অসুস্থ, চাই চিকিৎসা কিন্তু সন্তানের চিকিৎসার করতে রাজি নয় সন্তানের বাবা। তবে মা তো সন্তানকে ফেলে দিতে পারে না বা বিনা চিকিৎসায় মরতে দেখতে পারে না, তাই তিনি যেখানে যতটুকু সম্ভব করিয়েছেন চিকিৎসা কিন্তু সন্তানের সুস্থতার লক্ষণ দেখতে পাননি তিনি, ডাক্তারও শোনাতে পারেননি আশার বাণী, শেষ পর্যন্ত যেতে চাই ভেলোরে উন্নত চিকিৎসার জন্য, যাতে আগামী দিনের সন্তান সুস্থ স্বাভাবিক জীবন যাপন করে কিন্তু টাকা আসবে কোথা থেকে ?
ছেলের বাবা সম্পূর্ণ হাত তুলে দিয়েছে। বাপের বাড়িতে কোন মতের দুবেলা দু’মুঠো অন্ন জোটে।
বাপের বাড়ির অবস্থাও খুবই করুন। জমি জায়গা নেই, কোনমতে চলে সংসার ছেলের চিকিৎসার জন্য কোথায় পাবে টাকা।
তৌহিদ রহমান বয়েস এক বছর ছয় মাস, এই বয়সে বাচ্চারা বসবে, টলমল পায়ে দাঁড়াবে, হাসবে কাঁদবে কিন্তু দৈহিক সক্ষমতা হীন রহমান থাকে সর্বক্ষণ শুইয়ে।
বসার ক্ষমতা তার নেই, দেখতেও পাই না চোখে।
চোখ জুড়ে ছানি, অপারেশন দরকার বা উন্নত চিকিৎসার দরকার যাতে করে তোহিদ শারীরিক সক্ষমতা এবং চোখের দৃষ্টিতে ফিরে পায়।
বাপের বাড়ি লোকজন তাকে নিয়ে যেতে চায় ভেলোরে, প্রতিবন্ধকতা অর্থের।
জমি জায়গা থাকলে বিক্রি করে চিকিৎসা করাতো নাতির কিন্তু বসত বাড়িটুকু ছাড়া আর কোথাও নেই এক চিলতে জায়গা।
সাংবাদিকের ক্যামেরার সামনে আবেদন মা ও দিদার, চাই সাহায্য যাতে করে চিকিৎসা করতে পারে ছোট্ট নাবালকের তার আগামী ভবিষ্যতের জন্য।
এ ব্যাপারে অবশ্যই সরকারের দৃষ্টিপাত করা উচিত সাথে সাথে মানব কল্যাণে নিয়োজিত প্রাণ সহৃদয় ব্যক্তিদের। আছে কি সেই রকম কোন হাত যিনি অবিল্লাই বাড়িয়ে দেবেন ওই ছোট্ট তৌহিদ এর দিকে ?
রইল আবেদন এই সমাজের কাছে —

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *