জুনপুট ভূমিরক্ষা কমিটির প্রতিবাদ মিছিল।

পূর্ব মেদিনীপুর, নিজস্ব সংবাদদাতাঃ-  ডি.আর.ডি.ও. ক্ষেপনাস্ত্র উৎক্ষেপন কেন্দ্র গড়ার চেষ্টা করছে পূর্ব মেদিনীপুরের জুনপুটে। এর ফলে মৎস্য জীবীদের জীবন-জীবিকা বিপন্ন হবে বলে স্থানীয়দের অভিযোগ। তাই এই অপচেষ্টার বিরুদ্ধে জুনপুটে প্রতিবাদ সভা ও মশাল মিছিল সংগঠিত হয়। এইদিন জুনপুট ভূমিরক্ষা কমিটি এই মিছিলের ডাক দিয়ে ছিল। এই এলাকাতেই পরমাণু বিদ্যুৎ কেন্দ্র গড়ার প্রতিবাদে স্থানীয় বাসিন্দারা গর্জে উঠে ছিলেন। তীব্র আন্দোলনের ফলে সেই পরিকল্পনা এখন বিশ বাও জলে। এবার ক্ষেপনাস্ত্র উৎক্ষেপন কেন্দ্র গড়ার চেষ্টার প্রতিবাদের স্থানীয় বাসিন্দা ও মৎস্য জীবীরা প্রায় একই কায়দায় আন্দোলন শুরু করেছে। কাঁথি মহকুমার প্রাচীনতম ও ঐতিহ্যবাহী মৎস্য ক্ষেত্র হলো জুনপুট। সমুদ্র উপকূলের এই এলাকা রাজ্যের অন্যতম শুটকি উৎপাদন কেন্দ্র। বহুদিন ধরে এই এলাকা ঘনবসতি পূর্ণ। বিশেষত মৎস্য জীবীদের বাস। ক্ষেপনাস্ত্র উৎক্ষেপন কেন্দ্র হলে স্থানীয় বাসিন্দাদের সরে যেতে হবে। সেই সঙ্গে উপকূল লাগোয়া সমুদ্রে মাছ সেভাবে আর ধরা পড়বে না, এমন আশংকাতে ভুগছেন স্থানীয় বাসিন্দা ও মৎস্য জীবীরা। তাই ডি.আর.ডি.ও-এর সিদ্ধান্তে ক্ষুব্ধ স্থানীয় বাসিন্দারা। এই এলাকায় পরমাণু বিদ্যুৎ কেন্দ্রের বিরুদ্ধে গড়ে উঠে ছিল ‘পরমাণু বিদ্যুৎ কেন্দ্র বিরোধী ভূমি রক্ষা ও জীবন জীবিকা বাঁচাও কমিটি’। আর এবার ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণ কেন্দ্রের বিরুদ্ধে গড়ে উঠেছে জুনপুট ভূমিরক্ষা কমিটি। এই কমিটির ডাকে ছোট থেকে বড় সকলেই এই দিনের মশাল মিছিলে অংশ গ্রহণ করে।
এইদিন কমিটির কর্মকর্তা অমিত মান্না বলেন, আন্দোলনের চাপে পরমাণু বিদ্যুৎ কেন্দ্র এখানে অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে। কিন্তু এবার ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণ কেন্দ্র বিরোধী আন্দোলনের জল কতদূর গড়ায় সেটাই এখন দেখার।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *