হরিশ্চন্দ্রপুর ১ ব্লকের মহেন্দ্রপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের গাংনদিয়া বাংরুয়া মাধ্যমিক শিক্ষা কেন্দ্রের কঠিন হাল, নেই শিক্ষক।

মালদা, হরিশ্চন্দ্রপুর, নিজস্ব সংবাদদাতাঃ :—একজন মাত্র শিক্ষক দিয়ে চলছে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। চারটি শ্রেণির পড়ুয়াদের ক্লাস নেওয়ার পাশাপাশি মিড ডে মিলের বাজার ও অফিসের সমস্ত কাজ সামলাতে হয় প্রধান শিক্ষককে। হরিশ্চন্দ্রপুর ১ ব্লকের মহেন্দ্রপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের গাংনদিয়া বাংরুয়া মাধ্যমিক শিক্ষা কেন্দ্রের এই হাল।পঞ্চম থেকে অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত ওই কেন্দ্রটিতে মোট ৮১ জন পড়ুয়া রয়েছে।শিক্ষককে একটি ক্লাস নিতে গেলে অন্য ক্লাস ফাঁকা থাকছে। একজন শিক্ষক এই চারটি শ্রেণির ক্লাস কী করে নিচ্ছেন,কেন শিক্ষক নিয়োগ হচ্ছে না তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন পড়ুয়াদের অভিভাবকরা।শিক্ষক না থাকায় একদিকে যেমন ছাত্ররা ঠিকমতো শিক্ষা পাচ্ছে না,তেমনি প্রতিষ্ঠানটির ভবিষ্যত্ নিয়েও দুশ্চিন্তায় রয়েছেন অভিভাবকরা। মাঝেমধ্যে বড়রা ছোটদের ক্লাস নেয়।
জানা গিয়েছে, ২০০১ সাল থেকে ছয়জন শিক্ষক নিয়ে মাধ্যমিক শিক্ষা কেন্দ্রটির পথ চলা শুরু। ২০০৩ সালে অনুমোদন পায়।সেসময় দু’জন শিক্ষকের বেতন চালু হয়।এরপর ধাপে ধাপে ছয়জন শিক্ষকের বেতন চালু হয়।পরে এক শিক্ষক মারা যান ও বাকি চারজন শিক্ষক ধীরে ধীরে অবসর নেন। তার পর থেকে আর কোনও শিক্ষক নিয়োগ হয়নি প্রতিষ্ঠানটিতে। ২০২২ সাল থেকে সেখানে মাত্র একজন শিক্ষক রয়েছেন।কোনও গ্রুপ ডি কর্মী নেই। মাধ্যমিক শিক্ষা কেন্দ্রের প্রধান শিক্ষক রাহানুল হক বলেন,আমাকে পড়ানোর পাশাপাশি সমস্ত কাজ করতে হয়।কেন্দ্রটিতে খাতায় কলমে ৮১ জন পড়ুয়া থাকলেও নিয়মিত আসে ৩০-৩৫ জন।শিক্ষকের অভাবের জন্যই ছাত্ররা আসে না বলে স্থানীয়দের বক্তব্য।
কেন্দ্রের প্রধান শিক্ষক বলেন, শিক্ষক চেয়ে ব্লক, জেলা ও রাজ্যে আবেদন করেছি। কিন্তু কোনও সাড়া পাইনি।
স্থানীয় বাসিন্দা রাহানুল হক ও হাসিনা বিবিরা বলেন, গ্রামে স্কুল হওয়ায় খুব আনন্দ হয়েছিল।কিন্তু এখন ছাত্র থাকলেও শিক্ষক নেই।একজন শিক্ষক দিয়ে কোনও রকমে টিমটিম করে চলছে। এলাকাবাসীর আশঙ্কা,এভাবে চলতে থাকলে হয়তো শিক্ষক শূন্য হয়ে পড়বে স্কুলটি।তখন ছাত্রদের কী হবে?

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *