তহবিলের টাকা নয়ছয়ের অভিযোগ তুলে বিক্ষোভ।

নিজস্ব সংবাদদাতা, বাঁকুড়াঃ বাঁকুড়ার অন্যতম বৃহৎ গ্রাম পঞ্চায়েতটি হল বড়জোড়া গ্রাম পঞ্চায়েত। এই পঞ্চায়েতের গ্রাম সংসদের সংখ্যা হল ৩০। তার মধ্যে বিরোধী বিজেপির সদস্য সংখ্যা ১১। পঞ্চায়েত এলাকা বড় তাই প্রধানের কাজের ব্যস্ততাও বেশি। বুধবার এই গ্রাম পঞ্চায়েতের বিরুদ্ধে দুর্নীতি, স্বজনপোষন ও নিজস্ব তহবিলের টাকা নয়ছয়ের অভিযোগ তুলে পঞ্চায়েত অফিসের সদর দরজা আটকে ধরনা অবস্থান করলেন বিরোধী ১১ জন বিজেপি সদস্য। পঞ্চায়েত প্রধান সোমা মন্ডলের দাবি বিজেপি সদস্যরা দায়িত্বজ্ঞানহীনতার পরিচয় দিলেন দরজা আটকে রেখে। কারন বহু উপভোক্তার পরিষেবা নিতে তারা বিঘ্ন ঘটিয়েছেন। এটা জনপ্রতিনিধিদের কাছ থেকে কাম্য নয়। পঞ্চায়েতের বিরোধী দলনেতা গোবিন্দ ঘোষের অভিযোগ, দামোদর নদের মানাচর এলাকার বাসিন্দারা ভাঙাচোরা রাস্তা দিয়ে যাতায়াত করতে বাধ্য হচ্ছেন। প্রধান সব জেনেও রাস্তা মেরামতির কোনো উদ্যোগ নিচ্ছেন না। বড়জোড়া শিল্পাঞ্চলের প্রত্যেকটি নিকাশি নালা মজে গেছে। এগুলি পরিষ্কার করে সংস্কার করার কথা ছিল বর্ষার আগে। যাতে বর্ষায় মানুষের অসুবিধা না হয়। কিন্তু সেদিকে নজর নেই পঞ্চায়েত প্রশাসনের। গোবিন্দ বাবুর অভিযোগ, উপভোক্তারা পরিষেবা পাক বা না পাক সংশ্লিষ্ট সকলের নজর দামোদর নদের বালি ঘাট গুলির দিকে, মোরাম খাদান, কয়লা খনি, ও বিভিন্ন কারখানা গুলির দিকে। এই সব জায়গা গুলি থেকে পঞ্চায়েতের নিজস্ব তহবিলে এনওসি বাবদ লাখ লাখ টাকা জমা হয়। সেসবের হিসাব দেওয়া হয় না। কারখানায় নিজেদের লোক নিয়োগ করা নিয়েই ব্যস্ত থাকেন পঞ্চায়েত প্রধান থেকে বিধায়ক বলে দাবি করেন বিজেপির যুব নেতা সোমনাথ কর। তিনি বলেন অবিলম্বে পথবাতি লাগাতে হবে, রাস্তা ও নিকাশি নালা সংস্কার এবং পঞ্চায়েতের নিজস্ব তহবিলের হিসাব দিতে হবে এই মর্মে তারা ৬ দফা দাবি সম্বলিত একটি স্মারকলিপি জমা দিয়েছেন পঞ্চায়েত প্রধানকে।
বিজেপির এই বিক্ষোভ প্রসঙ্গে বড়জোড়ার বিধায়ক অলক মুখার্জি বলেন, পঞ্চায়েতের বিরোধী সদস্যরা নিজেদের হাস্যাস্পদ করে তুলেছেন। ওদের পঞ্চায়েত সম্পর্কে কোনো ধারনাই নেই। তাই এসব মিথ্যা অভিযোগ তুলছেন। চ্যালেঞ্জ করছি দম থাকলে প্রমান করুন কোথায় দুর্নীতি হয়েছে। পঞ্চায়েত প্রধান সোমা মন্ডল বলেন, এতবড় এলাকা। প্রচুর কাজ হচ্ছে। মানাচরের রাস্তা সারাই ও নিকাশি নালা সংস্কারের জন্য টেন্ডার ডাকা হবে। তিনি বিজেপি নেতাদের উদ্দেশ্যে বলেন, আপনারা দরজা আটকে রেখে চিল্লামিল্লি না করে যেকোনো দিন অফিসে বসে ওন ফান্ডের হিসাব নিয়ে যেতে পারেন। এই আশ্বাস পাওয়ার পর বিজেপি সদস্যরা বিক্ষোভ অবস্থান থেকে সরে আসেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *