বালুরঘাট ব্লকের ডাঙ্গী গ্রামের লোকেরা বাংলাদেশের পরিস্থিতি নিয়ে রীতিমতো উদ্বেগে এবং আতঙ্কিত অবস্থায় রয়েছে।

দঃ দিনাজপুর, নিজস্ব সংবাদদাতাঃ – বাংলাদেশের পরিস্থিতি এখনো টালমাটাল। শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর এখন বাংলাদেশ পুনর্গঠন এর মধ্য দিয়ে এগোচ্ছে।ইতিমধ্যেই সেখানে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠিত হয়েছে। বাংলাদেশের উদ্ভূত পরিস্থিতি জেরে দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার সীমান্ত লাগোয়া গ্রামগুলিতে এর প্রভাব এসে পড়েছে। বালুরঘাট ব্লকের ডাঙ্গী গ্রামের লোকেরা বাংলাদেশের পরিস্থিতি নিয়ে রীতিমতো উদ্বেগে এবং আতঙ্কিত অবস্থায় রয়েছে। গ্রামবাসীদের এখন দাবি বাংলাদেশ অবিলম্বে যেন শান্তি ফিরে আসে। বাংলাদেশের হিন্দু এবং মুসলিম উভয় সম্প্রদায় যেন সেখানে শান্তিতে এবং নিরাপদে থাকতে পারেন সেই প্রত্যাশা করেছে ডাঙ্গী গ্রামের সাধারণ মানুষজন। সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে গ্রামবাসীরা জানালেন, বাংলাদেশের এই পরিস্থিতি একদমই অনভিপ্রেত। সেখানে সাধারণ মানুষজনের বাড়িঘর জ্বালিয়ে এবং পুড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে। জিনিসপত্র অবাধে লুটতরাজ করা হচ্ছে। সাধারণ মানুষ এবং বিশেষ করে মহিলাদের অবস্থা রীতিমতো উদ্বেগের এবং ভয়ের। মহিলারা সেখানে নিরাপত্তার অভাব বোধ করছেন এবং বাড়িতে গৃহবন্দী অবস্থার মধ্যে দিন কাটাচ্ছেন। গ্রামবাসীদের আরো বক্তব্য যে সেখানে তাদের অনেক আত্মীয়-স্বজন রয়েছেন তাদের সাথে গ্রামবাসীরা যোগাযোগ করতে পারছেন না। মোবাইল এবং ইন্টারনেট পরিষেবা এখনো স্বাভাবিক হয়নি। এখন তাদের একটাই আশা বাংলাদেশে যাতে খুব শীঘ্রই শান্তি এবং সাধারণ মানুষজনের নিরাপত্তা ফিরে আসে। সাধারণ মানুষ যেন কোনরকম ভাবে হিংসার শিকার না হোন। পরিস্থিতি যতই কঠিন হোক না কেন বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকার বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে দেখবেন এবং সাধারণ মানুষের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করবেন।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার ২৬০ কিলোমিটার বাংলাদেশের সীমান্ত লাগোয়া। এর মধ্যে প্রায় ৩৫ কিলোমিটার এলাকায় এখনো কাঁটাতারের বেড়া দেওয়া হয়নি। ভারত সরকারের নির্দেশক্রমে বিএসএফ এবং সেনাবাহিনী সীমান্তে তাদের প্রহরা বাড়িয়েছে। খবর পাওয়া যাচ্ছে সেখানে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মানুষজন আতঙ্কগ্রস্থ হয়ে যেকোনো সময়ে দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার কাঁটাতার বিহীন এলাকাগুলো দিয়ে ভারতবর্ষে ঢুকে পড়তে পারেন। সীমান্তে হাজার হাজার মানুষ ভিড় জমিয়েছেন ভারতে ঢুকে পড়ার উদ্দেশ্য নিয়ে। যদিও বিএসএফ এবং আর্মি সাধারণ মানুষজনকে আশ্বস্ত করেছেন যে পরিস্থিতি যাই হোক না কেন যেকোনো মূল্যে সীমান্ত দিয়ে অনুপ্রবেশ তারা রুখবেন। এখন সবার নজর রয়েছে কবে বাংলাদেশের পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *