কয়েক ঘন্টার বিক্ষিপ্ত বৃষ্টিপাতেই পারাপার বন্ধ হয়ে গেছে মীনাপুর সেতুতে।

নিজস্ব সংবাদদাতা,বাঁকুড়া: – কয়েক ঘন্টার বিক্ষিপ্তভাবে বৃষ্টি অব্যাহত বাঁকুড়ায়। আর সেই বৃষ্টির কারণেই জলের তলায় বাঁকুড়া শহর সংলগ্ন মহা গুরুত্বপূর্ণ একটি সেতু। প্রচন্ড বৃষ্টিপাত হলে দেখাই যায় জলস্তর বেড়ে যাওয়ার কারণে ডুবে গেছে একাধিক সেতু। তবে এক্ষেত্রে কয়েক ঘন্টার বিক্ষিপ্ত বৃষ্টিপাতেই পারাপার বন্ধ হয়ে গেছে মীনাপুর সেতুতে। বৃষ্টিতে ফুঁসছে বাঁকুড়ার নদীগুলি। ইতিমধ্যেই দারকেশ্বর নদের জলস্তর বৃদ্ধি পাওয়ায় জলের তলায় চলে যাওয়ার আশঙ্কা একাধিক সেতুর। বাঁকুড়া শহর লাগোয়া গুরুত্বপূর্ণ সেতু মীনাপুর ইতিমধ্যেই চলে গেছে জলের তলায়। ফলতই ওই সেতু দিয়ে পারাপার একপ্রকার বন্ধ হয়ে গেছে। সেতু বন্ধ হয়ে যাওয়ায় মহা সমস্যায় পড়েছেন বহু গ্রাম। সেতু দিয়ে পারাপারকারী পাটপুরের বাসিন্দা বলেন, “গুরুত্বপূর্ণ একটি কাজে পাটপুর থেকে বাঁশি যাচ্ছিলাম। এসে দেখছি এই অবস্থা। জীবনে ঝুঁকি নিয়ে পারাপার করতে ভয় লাগছে। সাইকেল নিয়ে বৃষ্টির মধ্যে ঘুরে ঘুরে যেতে হবে। খুব অসুবিধা।”

অপর দিকে একটু বৃষ্টি হলেই জলে ডুবে যায় গুরুত্বপূর্ণ মীনাপুর সেতু। পারাপার বন্ধ হয়ে যায় প্রায় ১০ টি গ্রামের। বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে বাঁশি, আড়ালবাঁশি, ধলডাঙ্গা সহ বিভিন্ন গ্রাম। মীনাপুর সেতু জলের তলায় চলে যাওয়ায় প্রায় ৪০ মিনিট ঘুরে যেতে হয় গ্রামবাসীদের। যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যাওয়া গ্রামগুলি থেকে বাঁকুড়া শহরে প্রতিদিন কাজ করতে আসেন হাজার হাজার মানুষ। গ্রামবাসীদের নিত্যকার জীবন এবং জীবিকা অতপ্রোতভাবে জড়িত বাঁকুড়া শহরের সঙ্গে। কিন্তু ব্রিজ তলিয়ে যাওয়ায় যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন। এই সেতুর গুরুত্ব অপরিসীম তবুও কেন এমনটা হয় বছরের পর বছর। একটু বৃষ্টি হলেই সব শেষ। দেখা যায় না সেতু। তখন শুধুই জল। আর গ্রামবাসীদের কান্না, কারণ, থেমে যায় তাদের জীবন জীবিকা।

জলের তলায় এই ব্রিজ জলের তলায় চলে যাওয়ার কারণে থেমে গেছে একাধিক গ্রামের জীবন জীবিকা। ভয়ঙ্কর সমস্যার মুখে পড়েছেন সাধারণ মানুষ। যদিও বৃষ্টি এখনও চলতে থাকায় দারকেশ্বরে এবং গন্ধেশ্বরীর জলস্তর আরও বৃদ্ধি পাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *