শনিবার সন্ধ্যা বেলা মালদার চাঁচল সদর এলাকায় জেলা তৃণমূলের পক্ষ থেকে একটি মশাল মিছিল এবং ধিক্কার সভা করা হয়।

0
147

নিজস্ব সংবাদদাতা, মালদা:—-ফের বেলাগাম জেলা তৃণমূল সভাপতি। একের পর এক কুরুচিকর আক্রমণ। বিরোধীদের গণপিটুনির নিদান। প্রধানমন্ত্রীর বাপ বাপন্ত। মালদা জেলা তৃণমূল সভাপতি আব্দুর রহিম বক্সির মন্তব্য নিয়ে বিতর্কের ঝড়। শনিবার সন্ধ্যা বেলা মালদার চাঁচল সদর এলাকায় জেলা তৃণমূলের পক্ষ থেকে একটি মশাল মিছিল এবং ধিক্কার সভা করা হয়। মূলত এই সভার ইস্যু ছিল আরজিকরের দোষীদের দ্রুত ফাঁসির দাবি, বিজেপি শাসিত রাজ্যের বাংলার পরিযায়ী শ্রমিকদের নিরাপত্তার দাবি। এবং প্রধানমন্ত্রীর নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থ তাই তার পদত্যাগ। পাঞ্চালি কলেজ মাঠ থেকে মিছিল শুরু হওয়ার পর সমগ্র চাচল পরিক্রমা করে তরলতলা মোড়ে এসে শেষ হয়। সেখানে হয় ধিক্কার সভা। উপস্থিত ছিলেন জেলা তৃণমূল সভাপতি আব্দুর রহিম বক্সি, জেলার চেয়ারম্যান সমর মুখার্জী, দুই প্রতিমন্ত্রী তাজমুল হোসেন এবং সাবিনা ইয়াসমিন, স্থানীয় বিধায়ক নিহার রঞ্জন ঘোষ। সম্প্রতি হরিশ্চন্দ্রপুরের এক পরিযায়ী শ্রমিকের মৃত্যু হয় রাজস্থানে। পরিবারের লোক অভিযোগ করে সহকর্মীরা খুন করেছে। কার্য তো সেই ঘটনাকেই সামনে রাখে তৃণমূল।মঞ্চে ছিল মৃত পরিযায়ী শ্রমিকের স্ত্রী এবং নাবালক সন্তানেরা। সেখান থেকেই বক্তব্য রাখতে গিয়ে রহিম বক্সি বিস্ফোরক মন্তব্য করেন।তিনি বলেন দেশটা প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বাবার নয়।যদি বিজেপি শাসিত রাজ্যে বাংলার পরিযায়ী শ্রমিকদের নিরাপত্তা না থাকে। এই পরিচয় শ্রমিকের মৃত্যু নিয়ে যদি বিজেপি কংগ্রেস সিপিএম মোমবাতি মিছিল না করে। যেভাবে আরজিকর নিয়ে করছে। তবে যেভাবে পরিযায়ী শ্রমিকদের বিজেপি শাসিত রাজ্যে গণপিটুনি দিয়ে মারা হচ্ছে। এখানেও বিজেপি সিপিএমের সঙ্গে সেটা করা হোক। যদিও রহিম বক্সীর এই মন্তব্যের পাল্টা তীব্র প্রতিক্রিয়া বিরোধীদের। বিরোধীদের অভিযোগ অমানবিক তৃণমূল সদ্য স্বামীহারা স্ত্রীকে মঞ্চে নিয়ে বসে রাজনীতি করছে। এরা আর জি করের তথ্য প্রমাণ লোপাটের সঙ্গে যুক্ত। বুঝতে পেরেছে নিজেদের বিপদ। তাই এইসব বলে নজর ঘোরানোর চেষ্টা করছে।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here