আবদুল হাই, বাঁকুড়াঃ ভদ্র বিনম্র কাঠমিস্ত্রি বুদ্ধদেব পাল, যার অভাব ছিল নিত্যসঙ্গী অথচ তিনি ছিলেন একজন দক্ষ কারিগর, তার শর্তেও শুধুমাত্র সততার জন্য তিনি সেভাবে কিছুই করে উঠতে পারেনি। প্রতিদিনকার অভাব অনটনে জর্জরিত জীবনে কাঠের কাজ করেই কোনমতে চালাতেন সংসার।
খুবই ভালো ছেলে বলতে যা বোঝায়, সেরকমই ছিলেন দক্ষ কাঠমিস্ত্রি বুদ্ধদেব পাল, বাড়ি বাঁকুড়া জেলার ইন্দাস ব্লকের ঠাকুররানী পুস্কুরীনী গ্ৰামে।
মাথা গোঁজার ঠাইটুকু ছাড়া জমি জায়গা আর কিছুই ছিল না তার ওপর কয়েক মাস হল বড় মেয়ের বিয়ে দিয়েছেন, অভাবের সংসারে দারিদ্র্যের কালো মেঘ যেন বেড়েছে বহু গুণ , এমতাবস্থায় ওই কাঠের কাজই ছিল তার একমাত্র ভরসা আর সেই কাজ করতে গিয়েই বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মারা যান তিনি। মৃত্যুকালে তিনি অভাবের নরক যন্ত্রণায় রেখে গেলেন স্ত্রী ,কন্যা ও ছোট্ট পুত্র সন্তানকে। যে নাবালক সন্তান আর কোনদিনই দেখতে পাবে না তার বাবাকে, ছোট্ট থেকেই পিতৃহারা হল হতভাগ্য সন্তান। আর কোনদিনই ডাকতে পারবেনা বাবা বলে।
এলাকার দক্ষ কাঠমিস্ত্রি ভালো মানুষ বুদ্ধদেব পালের এহ্যানো মৃত্যুতে ভেঙে পড়েছে পরিবার, পরিজন, প্রতিবেশীরা এবং তাকে এক পলক চোখে দেখার জন্য শব বহনকারী গাড়ির যাতায়াতের পথে অর্থাৎ গোবিন্দপুর বাজারে রাস্তার দুই পাশে ভিড় জমিয়েছিলেন এলাকার মানুষ।