সামনে কালীপুজো, তাই গ্রামের পাঁচটি পাড়া মিলে মঙ্গলবার রাতে বৈঠক ডেকেছিল, আর সেখানে বিবাদ।

0
41

নিজস্ব সংবাদদাতা, মালদা— সামনে কালীপুজো, তাই গ্রামের পাঁচটি পাড়া মিলে মঙ্গলবার রাতে বৈঠক ডেকেছিল। আর সেখানে গ্রামের একাংশ এই মেলাতে চটুল নাচের আসর এবং জুয়ার ঠেক বন্ধের দাবিতে তাদের মতামত জানায়। আর তারপরে এই বৈঠকে ই দুই পক্ষের মধ্যে বিবাদ শুরু হয়ে যায় চটুল নাচ এবং জুয়ার ঠেক বসানো নিয়ে। আর সেখানেই গ্রামের এক যুবককে লোহার পাঞ্জা দিয়ে বেধড়ক মারধরের অভিযোগ উঠেছে তৃণমূল নেতা এবং তার ভাইয়ের বিরুদ্ধে। গুরুতর আশঙ্কাজনক অবস্থায় মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছে ওই যুবক। অভিযুক্তদের গ্রেফতারের দাবীতে বিক্ষোভ এলাকার মহিলাদের।
হরিশ্চন্দ্রপুর থানার অন্তর্গত মহেন্দ্রপুর গ্রামের ঘটনা।স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে মহেন্দ্রপুর কালী মন্দিরে কালীপূজো উপলক্ষে এলাকার পাঁচটি পাড়ার মানুষ একসঙ্গে পূজোর আয়োজন করে থাকেন। গ্রামবাসীদের অভিযোগ ওই পুজো উপলক্ষ্যে মেলাতে বসানো হচ্ছে চটুল নাচের আসর এবং জুয়ার ঠেক যার ফলে নষ্ট হচ্ছে এলাকার সংস্কৃতি। নিরাপত্তার অভাব বোধ করছে মহিলারা। নষ্ট হচ্ছে পুজোর সংস্কৃতি। এই কারণেই এবার এলাকার স্বর্ণকার পাড়ার পক্ষ থেকে হরিশ্চন্দ্রপুর থানায় আগাম অভিযোগ দায়ের করা হয় যাতে এই সবের আসর কালী পুজোতে কোন ভাবেই না বসে। এই নিয়েই চলছিল কালীমন্দিরে বৈঠক। প্রত্যেকেই সহমত প্রকাশ করে ছিলেন এই ধরনের আসর বন্ধ করার জন্য।সেই সময় হঠাৎ করে ওই গ্রামের বাসিন্দা তৃণমূল নেতা অবিনাশ দাস এবং তার ভাই প্রিন্স দাস হুমকি দিতে থাকে যারা থানায় অভিযোগ করেছে তাদের।তারা দাবি করে চটুল নাচের আসর বসতে দিতেই হবে। প্রতিবাদী এলাকাবাসীদের প্রাণে মারার হুমকি দেয় অবিনাশ বলে অভিযোগ।সেই সময় প্রীতম সাহা নামে এক যুবক প্রতিবাদ করলে তার ওপর চড়াও হয় দুই অভিযুক্ত। লোহার পাঞ্জা দিয়ে আঘাত করা হয় মুখে এবং মাথায়। রক্তাক্ত অবস্থায় লুটিয়ে পড়েন প্রীতম।ধারালো অস্ত্র দিয়ে খুনের চেষ্টাও করা হয়। গ্রামবাসীদের অভিযোগ সেখানে ভিলেজ পুলিশ উপস্থিত থাকলেও তিনি কিছু করেননি। উপস্থিত এলাকাবাসী কোনোক্রমে তাকে প্রাণে রক্ষা করে হরিশ্চন্দ্রপুর গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখান থেকে অবস্থার অবনতি হলে চাচল সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে রেফার করা হয়। প্রীতমের পরিবারের পক্ষ থেকে হরিশ্চন্দ্রপুর থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।জানা গেছে এই অবিনাশ দুই মাস আগেই হরিশ্চন্দ্রপুর গ্রামীণ হাসপাতালে নার্স এবং চিকিৎসকদের মারধরের ঘটনাতেও জেল খেটে ছিলেন।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here