আবদুল হাই, বাঁকুড়াঃ- সময়টা দীর্ঘ প্রায় ছয় মাস। ইলেকট্রিকের কাজ করতে গিয়ে ইলেকট্রিক পোল ভেঙে পোলের মাথা থেকে পড়ে এখন মৃত্যুর সঙ্গে লড়াই করছে তরতাজা যুবক কল্যাণ মহন্ত। ঘটনাটি বাঁকুড়া জেলার ইন্দাস ব্লকের বিড়াশিমুল এলাকার।
ছেলের চিকিৎসা করতে গিয়ে বৃদ্ধ বাবা বন্ধক দিয়েছে বসত বাড়ি এবং চাষের সামান্য জমি বিক্রি হয়েছে বাড়ির সামান্য গয়না গাটিও কিন্তু সেই টাকাও জলের মত খরচ হয়েছে কলকাতা ও আরামবাগের দুই বেসরকারি হাসপাতালে অথচ কল্যাণ মহন্ত দিনের পর দিন মৃত্যু যন্ত্রণায় ছটফট করছে। বেসরকারি হাসপাতালে আজব চিকিৎসা ব্যবস্থায় খরচ হয়েছে লক্ষ লক্ষ টাকা কিন্তু রোগীর শারীরিক অবস্থার উন্নতির বদলে প্রতিদিন একটু একটু করে মৃত্যুর দিকে এগিয়ে চলেছে ।
কলকাতায় এক বেসরকারি হাসপাতালে খরচ করেছে প্রায় ৭ লাখ টাকা এবং আরামবাগের আর এক বেসরকারি হাসপাতালে খরচা করছে প্রায় দু’লাখ টাকা কিন্তু কল্যাণ মহন্তের শারীরিক অবস্থার উন্নতির কোন লক্ষণ দেখাতে পারেনি উল্লেখিত ২ বেসরকারি হাসপাতালের চিকিৎসকেরা অথচ কল্যান মহান্তের বাবাকে ইতিমধ্যে বসিয়ে দিয়েছে একেবারে পথে।
এখন অবস্থায় এতটাই করুন যে প্রতিদিন দু’বেলা দুমুঠো কিভাবে খাবার জুটবে সেই চিন্তা করতে করতেই পাগলের মত অবস্থা বৃদ্ধ বাবার। কল্যাণ মহন্তের বাড়িতে আছেন বৃদ্ধ বাবার কল্যাণের স্ত্রী প্রিয়া মহন্ত এবং তাদের দুই বছরের ফুটফুটে এক পুত্র সন্তান।
এই মুহূর্তে একদম নিঃস্ব অবস্থা পরিবারটির, কল্যাণের বন্ধু-বান্ধব, প্রতিবেশী এবং আত্মীয়-স্বজনদের দয়াতে যদিও একটু খাবার জোটে তো ছেলের জন্য ঔষধ কেনার টাকা জোটে না বাবার কাছে । প্রতিদিন ১ হাজার টাকা করে ওষুধ যা না খেলে মৃত্যু আরও তাড়াতাড়ি গ্রাস করবে যুবককে। এমতাবস্থায় অসহায় বাবা ও তার স্ত্রীর করুন আর্তনাদ , পাশে দাঁড়ান কেউ, একটু সাহায্য করুন সরকার, যাতে বৃদ্ধ বাবা তার একমাত্র ছেলেকে বাঁচাতে উন্নততর চিকিৎসা করাতে পারে, পরিবারের সবার মুখে তুলে দিতে পারে দু মুঠো অন্ন।