দঃ দিনাজপুর, নিজস্ব সংবাদদাতাঃ- বালুরঘাট শহরের চকভবানী এলাকার অভিজিৎ চক্রবর্তীর জীবন যেন আচমকাই পালটে যায় সোমবার গভীর রাতে। হঠাৎই একটি ফোনে হাসপাতালের জরুরি বিভাগ থেকে জানানো হয়, “আপনি ২৮ তারিখে ভর্তি হয়েছেন, অথচ কেন হাসপাতালে নেই ?” শুনেই বিস্ময়ে হতবাক হন পেশায় চাকুরিজীবী অভিজিৎ বাবু, কারণ তিনি গত তিনবছরেও বালুরঘাট হাসপাতালের গন্ডি মাড়াননি।
জানা গেছে, অভিজিৎবাবু শারীরিক অসুস্থতা নিয়ে কলকাতায় চিকিৎসার জন্য ভর্তি হন চলতি মাসের ২২ তারিখে, কিন্তু বালুরঘাটের এই ভুলবার্তা মধ্যরাতে তাঁকে যথেষ্টই বিভ্রান্ত করে। ফোনের অপর প্রান্ত থেকে হাসপাতাল কতৃপক্ষ বারবার তাঁর নাম, ঠিকানা এবং ভর্তির তারিখ উল্লেখ করেন। এই অপ্রত্যাশিত তথ্য পেয়ে যেন চমকে ওঠেন অভিজিৎবাবু। ফোনের শেষে হাসপাতালের কর্মী বিষয়টিকে সার্ভারের ত্রুটি বলে উল্লেখ করেন এবং দ্রুত ফোনটি কেটে দেন। এই অদ্ভুত এবং ভীতিকর অভিজ্ঞতা শুধু অভিজিৎ চক্রবর্তী নয়, বরং তার পরিবারেও আতঙ্কের সৃষ্টি করেছে। অন্যদিকে সরকারি হাসপাতালের এই ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই অনেকেই মুখ টিপে হেসেছেন। হাসপাতালের পরিকাঠামো ও ব্যবস্থাপনার প্রশ্নে অনেকেই হতাশা প্রকাশ করছেন। কেন পুরনো রোগীর তথ্য তিনবছর পরও সিস্টেমে সক্রিয় থেকে এমন বিভ্রান্তি সৃষ্টি করছে তা নিয়েও উঠেছে প্রশ্ন ? রোগী এবং স্থানীয়দের দাবি, এটি হাসপাতালের প্রযুক্তিগত দুর্বলতা এবং অবহেলার চূড়ান্ত উদাহরণ।
অভিজিৎ চক্রবর্তী জানিয়েছেন, মধ্যরাতে সরকারী হাসপাতালের এমন ঘটনা মানা যায়না। ঘটনা নিয়ে তারা যথেষ্টই আতঙ্কিত।
হাসপাতাল সুপার কৃষ্ণেন্দু বিকাশ বাগ অবশ্য বিষয়টি নিয়ে দ্রুতই বিবৃতি দিয়েছেন। তিনি জানান, এটি নিছকই সার্ভারের ত্রুটির ফল এবং এটি খুব শীঘ্রই ঠিক করা হবে। তবে এমন “ভূতুড়ে কাণ্ডে” শহরবাসীর মনে বালুরঘাট হাসপাতালের পরিকাঠামো ও প্রযুক্তিগত দক্ষতা নিয়ে যথেষ্ট সন্দেহ দানা বেঁধেছে।