নিজস্ব সংবাদদাতা, , বালুরঘাট, 30 অক্টোবর ——– মালদা ও বালুরঘাটের একই নামী প্যাথলজি সেন্টারের দুই শাখার ভিন্ন রিপোর্ট ঘিরে তুমুল চাঞ্চল্য ! মালদা শাখার দাবি রোগীর ডান কিডনিতে সিস্ট হয়েছে, কিন্তু পালটা বালুরঘাট শাখা দাবি করছে রোগীর বাম কিডনিতে সিস্ট হয়েছে। মঙ্গলবার এই চাঞ্চল্যকর ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই বালুরঘাটের পাওয়ার হাউজ এলাকার ৬৪ বছরের মিনতি চ্যাটার্জ্জী ও তাঁর পরিবারকে ফেলেছে এক গভীর উৎকণ্ঠায়।
জানা গেছে, দীর্ঘদিন ধরে প্রেসার ও সুগারজনিত সমস্যায় ভুগছেন মিনতি দেবী। সেপ্টেম্বরে মালদার ওই বেসরকারি প্যাথলজি সেন্টারে বসা চিকিৎসক শঙ্খজ্যোতি সাহার পরামর্শে চলতি মাসের ২০ তারিখে মালদার ওই প্যাথলজি ল্যাবে কিডনি পরীক্ষা করান মিনতি দেবীর পরিবারের লোকেরা। যে রিপোর্টে দেখা যায় ডান কিডনিতে তার একটি সিস্ট রয়েছে। এরপর চিকিৎসার জন্য বালুরঘাটে ফিরে এসে ২৮ তারিখে সেই একই প্যাথলজি সেন্টারের বালুরঘাট শাখায় পুনরায় পরীক্ষা করালে রিপোর্টে এবার দেখা যায়, সিস্ট বাম কিডনিতে।
এই ভিন্ন রিপোর্ট দেখেই চমকে উঠেছেন মিনতির পরিবারের সদস্যরা। প্রশ্ন উঠেছে সিস্ট আসলে কোন কিডনিতে রয়েছে ? কোন রিপোর্টই বা সঠিক? চিকিৎসায় ভুল হলে ভয়াবহ পরিণতি হতে পারে, এই আশঙ্কায় এখন দিশেহারা মিনতি দেবীর পরিবারের লোকেরা। তারা অবিলম্বে এই বিভ্রান্তির জন্য প্যাথলজি সেন্টারের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপের দাবি তুলেছেন।
অসুস্থ মিনতি চ্যাটার্জি বলেন, তার সিস্ট তাহলে কোন কিডনিতে রয়েছে। ভুয়ো রিপোর্ট পেশ করেছে ওই প্যাথলজি সেন্টার। ঘটনা নিয়ে তিনি যথেষ্টই আতঙ্কিত। অবিলম্বে তার টাকা ফেরত দেওয়া হোক এবং ওই প্যাথলজি সেন্টারের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হোক।
মিনতি দেবীর মেয়ে দেবযানী চ্যাটার্জি বলেন, একই প্যাথলজি সেন্টারের দুটি শাখা থেকে দুটি ভিন্ন রিপোর্ট দেওয়া হয়েছে তাদের। কেউ বলেছে কিডনির ডানদিকে সিস্ট, আবার কেউ বলছে বাদিকে সিস্ট। রোগীর সিস্ট তাহলে কোথায় রয়েছে এনিয়ে তারা যথেষ্ট দুশ্চিন্তায় ও আতঙ্কিত হয়ে রয়েছেন।
তবে এই ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই জনমনে নানা প্রশ্ন তৈরি হয়েছে। তবে কি নামকরা এই প্যাথলজি সেন্টারের আড়ালে চলছে দায়িত্বজ্ঞানহীনতার খেল ? রোগীর পরিবারের দাবি, প্রশাসন যেন দ্রুত পদক্ষেপ নেয়। তবে এনিয়ে ক্যামেরার সামনে কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি প্যাথলজি সেন্টারের কর্তৃপক্ষ। তাদের দাবি, ওই রোগীকে তারা পুনরায় কিডনি পরীক্ষা করাবেন।