নৈহাটি, নিজস্ব সংবাদদাতা:- আর কয়দিন পরেই উপনির্বাচনের ভোট। তাই ভোটের দামামা বেজে গিয়েছে। প্রতিটি দল তাদের পর্থীর হয়ে প্রচার চালাচ্ছে জোর কদমে। লড়াই বিনা জমি ছাড়তে রাজি নয় কোনো দলই। মাটি কামড়ে চলছে প্রচারের কর্মসূচি। যদিও জয়ের ব্যপারে আত্মবিশ্বাসী প্রত্যেকেই। তাই প্রচারে খামতি নেই কারো। তাই সকলের মতন নৈহাটী বিধানসভার নির্বাচনে বিজেপির পর্থী রূপক মিত্র র প্রচার চলছে জোর কদমে। শুরুর প্রথম দিন থেকেই তিনি ঝাঁপিয়ে পড়েছেন নির্বাচনী প্রচারে। এদিন তাঁর হয়ে প্রচারে আসেন কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী শান্তনু ঠাকুর। সম্প্রতি নৈহাটিতে আসন্ন উপনির্বাচনের জন্য বিজেপি প্রার্থী রূপক মিত্রের সমর্থনে প্রচার করলেন তিনি। তার প্রচারের সময়, ঠাকুর নৈহাটির জনগণকে বিজেপি প্রার্থীকে ভোট দেওয়ার জন্য অনুরোধ করেন, ন্যায়বিচার ও উন্নয়নের প্রতি দলের প্রতিশ্রুতির উপর জোর দিয়ে। তিনি রাজ্যের ক্ষমতাসীন দলের সমালোচনাও করেন, তাদের অভিযুক্ত করে বলেন ভোটারদের প্রভাবিত করতে এবং নির্বাচনী প্রক্রিয়াকে ব্যাহত করতে গ্যাং ব্যবহার করছে শাসক দল। কিন্তু রাজ্যের শাসক দল তাদের গুন্ডা বাহিনীর দ্বারা ভোট করানোর চেষ্টা করে আমরা যেমন থামবো না, আমাদের কর্মীরাও যেমন থামবে না, তেমন আপনারা যারা সাধারণ মানুষ সুবিচার চান, উন্নয়ন চান তাদের কাছেও আশা করব আপনার থামবেন না, সকাল সকাল ভোট কেন্দ্রে গিয়ে নিজের ভোট নিজে দেবেন। তিনি স্থানীয় মানুষের উদ্দেশ্যে বলেন, আপনারা আগেও আমাদের সাথে ছিলেন আজও আমাদের সাথে থাকবেন তা আমরা বিশ্বাস করি।
ঠাকুরের প্রচারণা একটি উত্তেজনাপূর্ণ রাজনৈতিক পরিবেশের মধ্যে এসেছে, যেখানে উপ-নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে এমন ছয়টি কেন্দ্রে নিয়ন্ত্রণের জন্য বিভিন্ন দল প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছে। বিজেপি নেতার নৈহাটি সফরকে মিত্রের সমর্থন জোগাড় করতে এবং ক্ষমতাসীন তৃণমূল কংগ্রেস দলের প্রভাব মোকাবেলার একটি কৌশলগত পদক্ষেপ হিসেবে দেখা হচ্ছে৷ তিনি নৈহাটি বিধানসভা এলাকায় দাঁড়িয়ে মিডিয়ার মুখোমুখি হয়ে বলেন, বর্তমান সময়ে রাজ্যের শাসক দল ভয় পেয়ে গিয়েছে। নৈহাটিতে উপনির্বাচন হতে চলেছে, আর তার ঠিক আগে আমাদের নেতা অর্জুন সিং কে সিআইডির তলব করা হয়েছে। যাতে করে তাকে নৈহাটির ভোট প্রচার থেকে দূরে সরানো যায়। কারণ অর্জুন সিং নৈহাটিতে ভোট প্রচার করলে বা ভোটের দিন নৈহাটিতে থাকলে তৃণমূলের বহু গুন্ডা বাহিনী গুন্ডাগিরি করতে ভয় পাবে। তাই তারা আগে থেকেই অর্জুন সিং কে নৈহাটি থেকে সরাতে সিআইডির সাহায্য নিচ্ছে।
আরজি কর কেস সম্পর্কে প্রশ্ন করা হলে, ঠাকুর সুপ্রীম কোর্টের ন্যায়বিচার দেওয়ার ক্ষমতার প্রতি আস্থা প্রকাশ করেন, এই বলে যে আদালত মামলার বিচার করার দায়িত্ব নিয়েছে এবং ন্যায়বিচার নিশ্চিত করবে।
তাই তিনি নৈহাটি বিধানসভা এলাকার মানুষের কাছে আবেদন রাখেন তারা যেনো ভোটের দিন সকাল সকাল ঘর থেকে বেরিয়ে ভোট কেন্দ্রে গিয়ে নিশ্চিন্তে বিজেপিকে ভোট দিয়ে বিপুল ভোটে জয়যুক্ত করেন। তিনি বিশ্বাস রাখেন যে মানুষ তাদের পাশে আছেন এবং আগামি দিনেও থাকবেন।