নিজস্ব সংবাদদাতা, মালদা— ফের আবাস যোজনায় বড় দুর্নীতির অভিযোগ।রাজ্য সরকারের আবাস প্লাসের সার্ভে যত এগোচ্ছে তত এলাকায় এলাকায় আছড়ে পড়ছে বিক্ষোভের ঢেউ। এলাকাবাসীর অভিযোগ প্রকৃত উপভোক্তাদের নাম থাকছে না তালিকায়। অনেকের নাম বাদ দেওয়া হচ্ছে। আর যাদের পাকা বাড়ি তাদের নাম থাকছে। হচ্ছে ব্যাপক দুর্নীতি। রাতের অন্ধকারে আসছেন সার্ভে অফিসাররা। এমনকি তৃণমূলের স্থানীয় পঞ্চায়েত সদস্য পর্যন্ত সার্ভে অফিসারদের ভূমিকায় অসন্তুষ্ট। মানুষের ক্ষোভকে স্বাভাবিক বলেই দাবি করছেন। এই ঘটনা সামনে আসতেই আক্রমণ শানিয়েছে বিজেপি। কেন্দ্রীয় বঞ্চনার অভিযোগ তুলে পাল্টা সাফাই তৃণমূলের। শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা। বুধবার মালদা জেলার হরিশ্চন্দ্রপুরের তৃণমূল পরিচালিত রশিদাবাদ গ্রাম পঞ্চায়েতের জনমদল গ্রামে আবাস যোজনার দুর্নীতি নিয়ে এলাকাবাসীর তুমুল বিক্ষোভের জেরে চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে। তাদের অভিযোগ যাদের কাঁচা বাড়ি আছে তাদের কারোর নাম নেই তালিকায়। অনেকের নাম বাদ চলে গেছে তালিকা থেকে। কিন্তু যাদের পাকা বাড়ি। তাদেরই নাম আছে তালিকায়। এর পেছনে দুর্নীতির অভিযোগ আনছে বঞ্চিত উপভোক্তারা। কাটমানির বিনিময়ে ঘর দেওয়া হচ্ছে বলে তাদের দাবি। আর যারা দিতে পারছে না তারা ঘর পাচ্ছে না। সার্ভের অফিসাররা আসছে রাতের অন্ধকারে।এদিকে তৃণমূলের স্থানীয় পঞ্চায়েত সদস্য তথা উপ-প্রধান একরামুল হক বলেন অনেকের কাঁচা বাড়ি থাকলেও তাদের তালিকায় নাম নেই। তাই তারা বিক্ষোভ করবে স্বাভাবিক। কিন্তু সার্ভে অফিসাররা আমাকে একবারও ডাকেন নি। তবে উনারা দিনের বেলাতেই আসেন। সার্ভে করতে করতে রাত হয়ে যায় হয় তো। অন্যদিকে ব্লক তৃণমূল সভানেত্রী তথা জেলা পরিষদ সদস্যা মর্জিনা খাতুন বলেন কেন্দ্র বঞ্চনা করে সাধারণ মানুষকে ঘর দেয়নি। মানবিক মুখ্যমন্ত্রী সেটা ভেবেছেন। কোথাও সমস্যা হলো প্রশাসন দেখবে। যদিও বিজেপির অভিযোগ আবাস যোজনায় দুর্নীতি হয়েছিল সেটা প্রমাণিত। এই সব টাকাতে তৃণমূল নেতাদের উন্নতি হয়েছে। এখন ফের নাটক চলছে নেতাদের পকেট ভরানোর জন্য।