৬০০ বছরের প্রাচীন ছাতনার বড়মার বিসর্জন হল গরুর গাড়িতে।

বাঁকুড়া, নিজস্ব সংবাদদাতা:- গরুর গাড়ি এখন খুব একটা দেখাই যায় না কিন্তু বাঁকুড়ার ছাতনায় এখনো প্রাচীন রীতিনীতি মেনে গরুর গাড়িতে মা কালিকে চাপিয়ে হয় বিসর্জনের শোভাযাত্রা। তবে গাড়িটি গরুর হলেও, টানছেন ভক্তেরা। ৬০০ বছরের প্রাচীন মা কালী। প্রথা মেনে আট দিনের মাথায় হয় বিসর্জন। এই প্রথা বহুদিনের। গরুর গাড়িতে মাকে চাপিয়ে নিয়ে আসা হয় বিসর্জনের জন্য। বাঁকুড়ার ছাতনা এক নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের অন্তর্গত ছাতনা বড় কালী মেলার মা কালী বিসর্জন হল গরুর গাড়িতে করে। গ্রাম বাংলার প্রাচীন ঐতিহ্য গরুর গাড়ির ব্যবহার এখন প্রায় নেই বললেই চলে। বাঁকুড়ার কিছু প্রত্যন্ত গ্রামে এখনও দেখা যায় গরুর গাড়ির ব্যবহার। আগেকার দিনে বিসর্জনের জন্য ব্যবহার করা হত গরুর গাড়ি। তবে সেই প্রথাও হারিয়েছে সময়ের স্রোতে।তবে বাঁকুড়ার প্রত্যন্ত গ্রামে পাওয়া গেল পুরানো দিনের স্বাদ। দেওঘরিয়া পরিবারের মা কালীকে নিয়ে যাওয়া হল গরুর গাড়িতে করে।

পারিবারিক পুজো হলেও, এই কালীপুজোকে কেন্দ্র করে জড়ো হয় পুরো ছাতনা। ছাতনার “বড়মা” নামে পরিচিত দেওঘরিয়াদের মা কালী। গরুর গাড়িটি টানছে ভক্তেরা। মহাকালী কে বিদায় জানাতে জড়ো হয়েছে শত শত মানুষ। গরুর গাড়ির সমেত মাকে নামিয়ে দেওয়া হয় পুকুরে। আবারও শুরু হয় একটি বছরের অপেক্ষা। বাঁকুড়ার এক গুরুত্বপূর্ণ ভূমি হল এই ছাতনা। চারণ কবি বড়ু চন্ডীদাস থেকে আরম্ভ করে, ছাতনা রাজবাড়ি, মা বাসুলীর মন্দির এবং প্রাগৈতিহাসিক শুশুনিয়া পাহাড়। সবই রয়েছে এই অঞ্চলে। রয়েছে আধ্যাত্ম চেতনাও। এইসব আধ্যাত্ম চেতনা থেকেই, মা কালীর আরাধনা দেওঘরিয়া পরিবারে। যাতে সামিল হয় গোটা ছাতনার মানুষ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *