অপু-দুর্গা থেকে গুপি-বাঘা! শিশু দিবসে দীঘায় বাচ্চাদের জন্য গড়ে উঠছে সত্যজিৎ রায় পার্ক।

0
167

পূর্ব মেদিনীপুর, নিজস্ব সংবাদদাতাঃ- পূর্ব মেদিনীপুর জেলার সমুদ্র সৈকত দীঘা শঙ্করপুর উন্নয়ন পর্ষদের উদ্যোগে গড়ে উঠছে সত্যজিৎ রায় পার্ক। অপু-দুর্গা থেকে গুপি-বাঘা! শিশু দিবসে দীঘায় বাচ্চাদের জন্য গড়ে উঠছে সত্যজিৎ রায় পার্ক। গুপী গাইন বাঘা বাইন থেকে অপু দুর্গার মূর্তি।
সত্যজিৎ রায় স্মরণে কী চমক আসছে দিঘায়? দিঘা এবার আরও মোহময়ী হয়ে উঠতে চলেছে পর্যটকদের কাছে। ওল্ড দিঘার বিশ্ব বাংলা- ২ পার্কের কাছে আরও একটি পার্ক তৈরি করতে চলেছে দিঘা শঙ্করপুর উন্নয়ন পর্ষদ। সেই পার্কটি সম্পূর্ণ রূপে বিখ্যাত চিত্র পরিচালক সত্যজিৎ রায়ের বিভিন্ন কালজয়ী সিনেমার থিমের উপর নির্মাণ করা হবে। অপু দুর্গা থেকে শুরু করে গুপি বাঘা বিভিন্ন স্ট্যাচু, দৃশ্য নন্দন ছবি ব্যবহার করে এই পার্ক গড়ে তোলা হচ্ছে। নতুন বছরে দিঘার পর্যটকদের একের পর এক উপহার তুলে দিতে চলেছে দিঘা শঙ্করপুর উন্নয়ন পর্ষদ
সত্যজিৎ রায়ের তৈরি করা বিভিন্ন ছবির কিছু চিত্র তুলে ধরার ব্যবস্থা করা হচ্ছে
ইতি মধ্যে ঝাঁ চকচকে রাস্তা, সাউন্ড সিসটেম, ডিজিটাল পরিষেবার পাশাপাশি পুরির আদলে জগন্নাথ ধাম মন্দির নির্মাণ করা হচ্ছে। শীতের পরশ গায়ে লাগিয়ে সমুদ্র সৈকতে রোদ পোয়ানোর মজাই আলাদা। বছরের শেষ লগ্নে তাই অনেকেই ছুটে যাচ্ছেন দিঘা-মন্দারমণি। তবে দিঘা এখন আর শুধুমাত্র সমুদ্র উপভোগের ডেস্টিনেশন নয়, সঙ্গে রয়েছে একাধিক বিনোদন মূলক ব্যবস্থাও। দিঘার মুকুটে জুড়তে চলেছে নতুন পালক। এবার সৈকত শহরের বাসিন্দারা উপহার পেতে চলেছেন ‘সত্যজিৎ রায়’ পার্ক। নতুন বছরে দিঘার পর্যটকদের একের পর এক উপহার তুলে দিতে চলেছে দিঘা শঙ্করপুর উন্নয়ন পর্ষদ। প্রমোদতরীর পর এবার দিঘার পর্যটকদের জন্য গড়ে তোলা হচ্ছে ‘সত্যজিৎ রায় পার্ক’। ইতি মধ্যে ওল্ড দিঘার বিশ্ব বাংলা -২ পার্কের কাছে সেজে উঠছে সত্যজিৎ রায় পার্ক। দিঘায় আগত পর্যটকদের বিনোদনের জন্য এই ধরনের পার্ক গড়ে তোলা হচ্ছে। ওল্ড দিঘার বিশ্ব বাংলা -২ পার্কের কাছে বিচের পাশে এই পার্কটি গড়ে তোলা হবে। এক দিকে সমুদ্রের ঢেউয়ের মজা, অপর দিকে গুপী বাঘার সঙ্গে হিরক রাজার দেশে ঘুরে বেড়ানোর আনন্দ তুলে ধরার ব্যবস্থা করা হচ্ছে।
রাজ্য সরকার চাইছে, রাজ্যের অন্যতম পর্যটন কেন্দ্র দিঘাকে পর্যটক উপযোগী পরিবেশ গড়ে তোলার। ইতি মধ্যে ঝাঁ চকচকে রাস্তা, সাউন্ড সিসটেম, ডিজিটাল পরিষেবার পাশাপাশি পুরির আদলে জগন্নাথ ধাম মন্দির নির্মাণ করা হচ্ছে। সব মিলিয়ে বলা যেতে পারে ২০২৪ পর্যটকদের সামনে এক গুচ্ছ উন্নয়ন মূলক পরিষেবা তুলে ধরা হচ্ছে।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here