তমলুক, নিজস্ব সংবাদদাতা: – চা ভারতবর্ষের অন্যতম জনপ্রিয় পানীয় বস্তু। চা ছাড়া দিন শুরু করাটা কল্পনা করা যায় না। চায়ের পেয়ালায় চুমুক দিতে দিতে জমিয়ে আড্ডা দিতে ভালোবাসে বাঙালি। তাই হাটে বাজারে চায়ের দোকানে ভিড় করে বসে থাকে চা-প্রেমীরা। চা নানান ধরনের হয়। এবার কাশ্মীরের কেশর চায়ের প্রেমে পড়েছে তমলুক। কেশর থেকে আমন্ড কাজু সহ কাশ্মীরের নানা ধরনের মসলা দিয়ে বানানো চা জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। আর সেই চায়ের পেয়ালায় চুমুক দিয়ে রীতিমতো খুশি তমলুকবাসী।
পূর্ব মেদিনীপুর জেলার সদর শহর তমলুকে রাজবাড়ী ময়দানে বসেছে পূর্ব মেদিনীপুর জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে খাদি মেলা। এই মেলায় এসেছে কাশ্মীরি কাহয়া কেশর চা। নাম শুনতেও যেমন অদ্ভুত হলেও চা বানানোর পদ্ধতিটাও ঠিক সেভাবে অদ্ভুত। এই চা বানাতে, চা পাতা লাগে না। কাজু, আমন্ড, কেশর, এলাচ, জাফরান সহ প্রভৃতি কিছু দিয়েই তৈরি হচ্ছে চা। সাধারণত আমরা কেটলিতে চা বানাতে দেখি। কিন্তু এখানে কাহ্য়াতে বানানো হচ্ছে চা। কাহ্য়ার ভেতরেই দেওয়া হচ্ছে কয়লা। আর সেই কয়লার আগুনে ফুটছে চা।
কাশ্মীরি স্বাদের এই চা খেয়ে রীতিমত আপ্লুত তমলুকের সাধারণ মানুষ। তমলুকের বাসিন্দা সুভাষচন্দ্র জানা বলেন, ‘সাধারণত আমরা বাড়িতে দুধ চা বা লিকার চা খেয়ে থাকি। কিন্তু এই কাশ্মীরে কাহয়া কেশর চায়ের স্বাদ সম্পূর্ণ আলাদা। এই চা যেমন স্বাস্থ্যের পক্ষে উপকারী, তেমনি খুব সুস্বাদু। সাধারণ চায়ের থেকে এই চায়ের এক কাপের দাম খুব একটা বেশিও না। প্রত্যেকের উচিত এই চায়ের স্বাদ নেওয়া।’ খাদি মেলার অন্যতম আকর্ষণ হয়ে উঠেছে কাশ্মীরি কাহ্য়া কেশর চা।
কাহ্য়া কেশর চা শুধুমাত্র পাওয়া যায় কাশ্মীরে। অর্থাৎ কাশ্মীর গেলেই এই চা খাওয়ার সুযোগ পাওয়া যায়। কিন্তু সেই সুযোগ এবার তমলুক শহরেই। তমলুক শহরে কাহ্য়া কেশর চা সব বয়সী মানুষের কাছে জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। চা বিক্রেতার আগামী দিনের লক্ষ্য তমলুকে কাহ্য়া কেশর চায়ের স্টল দেওয়া।
Leave a Reply