একটা সময় গেছে যখন ছেলেকে সুস্থ করার আশায় বাবা-মা ছুটেছে একের পর এক হাসপাতালে, কিন্তু এখন সম্পূর্ণরূপে সর্বস্বান্ত পরিবার।

বাঁকুড়া, নিজস্ব সংবাদদাতা:- দুঃস্থ পরিবারের প্রতিবন্ধী ছেলে সূর্য ধাড়ার বয়স ১৯ বছর, সুস্থ স্বাভাবিক করার চেষ্টায় বাবা গৌতম ধাড়ার যা ছিল সবই গেছে বন্ধকির খাতায় এখন সম্পূর্ণরূপে সর্বস্বান্ত গৌতম ধাড়া তার ভাঙা নড়বড়ে ঘরে চার সন্তান সহ স্ত্রীকে নিয়ে কোনরকমে গাদাগাদি করে বসবাস করে।

বর্তমানে গৌতম ধাড়ার নিজস্ব কোন জমি নেই পরের জমিতে সকাল সন্ধ্যা কাজ করে যেটুকু পায় সেটুকু দিয়েই চলে কোন রকমের সংসার তাই চিকিৎসকদের পরামর্শে ছেলেকে আর অপারেশন করা হয়নি আর হবেই বা কি করে যেখানে প্রতিদিন নুন আনতে পান্তা ফুরিয়ে যায় সেখানে অপারেশনের কয়েক লক্ষ টাকা আসবেই বা কোথা থেকে ?
অতএব 19 বছরের সূর্য ধাড়া প্রতিবন্ধী অবস্থাতে আজও অস্বাভাবিক জীবন যাপন করছে।

একটা সময় গেছে যখন ছেলেকে সুস্থ করার আশায় বাবা-মা ছুটেছে একের পর এক হাসপাতালে এমনকি কলকাতা তেও নিয়ে গেছে ছেলেকে সুস্থ করার আশায় কিন্তু ফল কিছু হয়নি উল্টে একরাশ ব্যথা আর যন্ত্রণা নিয়ে ফিরে এসেছে ভাঙা ঘরে , যে ঘরে বর্ষার বৃষ্টির জল ঘরের ভিতরের মাটি অবলীলায় স্পর্শ করে যায় , রাতে চাঁদের আলো হামাগুড়ি দিয়ে যায় ছেঁড়া কাঁথায়, যে ঘরে প্রতিটি কোণে দারিদ্র্যের মলিনতা আর হতাশার গাঢ় অন্ধকার।
বাঁকুড়া জেলার ইন্দাস ব্লকের জয়নগর এলাকার গৌতম ধাড়া তিন ছেলে এবং এক মেয়ে সহ স্ত্রীকে নিয়ে সেই অন্ধকারে আজও হাতরে বেড়াচ্ছে কয়েক মুঠো আলোর আশায় যে আলোয় আলোকিত হতে পারে ১৯ বছরের প্রতিবন্ধী ছেলে সূর্য বাড়ার ভবিষ্যতের পথ চলা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *