সেখ ছোট্টু এখন সম্পূর্ণ শয্যাসায়ী, অভাবের সংসারে রাশি রাশি দারিদ্রতা আর বুক ভরা ব্যথা নিয়ে পরিবারের অন্যান্যরা তাকিয়ে আছেন মহাশূন্যের দিকে।

আবদুল হাই, বাঁকুড়াঃ- অভাবের সংসারে একমাত্র রোজকারী ছেলে সেখ ছোট্টু, এক বছর আগেই বাবা মারা গেছেন, বাড়িতে বিধবা মা , বৃদ্ধ ঠাকুরমা এবং স্ত্রী ও তার চার বছরের সন্তান।
শেখ ছোট্টু সুস্থ থাকার সময় সেই ছিল একমাত্র সংসারের বল ভরসা কিন্তু দুরারোগ্য ক্যান্সার তার সমস্ত লড়াইকে স্তব্ধ করে দিয়ে অচল করে দিয়েছে সংসার।
ক্যান্সার যখন ধরা পড়ে তখন কলকাতায় গিয়ে চিকিৎসা হয়েছে কিন্তু ক্যান্সারের মতো মরণব্যাধি পুরোপুরি নির্মূল হয়নি।
দিন যত যায় ততই শেখ ছোট্টু ধীরে ধীরে এগিয়ে চলেছে মৃত্যুর দিকে। বর্তমানে চিকিৎসা বলতে তেমন কিছু হয়নি কারণ চিকিৎসা করবার মতো অর্থ নেই পরিবারের হাতে। এখন দু’বেলা দু’মুঠো অন্নের জন্য এবং ছেলের ন্যূনতম চিকিৎসার জন্য
বিধবা মা বাটি হাতে রাস্তায় রাস্তায় ঘুরছেন সাহায্যের জন্য।
ঘটনাটি বাঁকুড়া জেলার ইন্দাস ব্লকের খোশবাগ এলাকার।
সেখ ছোট্টু এখন সম্পূর্ণ শয্যাসায়ী, অভাবের সংসারে রাশি রাশি দারিদ্রতা আর বুক ভরা ব্যথা নিয়ে পরিবারের অন্যান্যরা তাকিয়ে আছেন মহাশূন্যের দিকে।
প্রতিবেশীরা টুকিটাকি সাহায্য করে সেই দিয়ে কোন রকমে চলে সংসার কিন্তু ক্যান্সারের মতো মরণব্যাধির চিকিৎসার ব্যাপক খরচা আসবে কোথা থেকে, এই প্রশ্নের কোন উত্তর নেই পরিবারের কাছে।
শেখ ছোট্টুর মরণ রোগের চিকিৎসা
হতে পারে কোন স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা সান্নিধ্যে নয় তো সরকারের দয়ায় কিন্তু এখনো পর্যন্ত সেই আশাও দুরাশা কারণ এ পর্যন্ত কেউ এগিয়ে আসেনি সাহায্যে ডালি হাতে নিয়ে, না সরকার, না কোন স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা।
সেখ ছোট্টুর পরিবার পরিজন তাই চোখের জলে ডাকেন ঈশ্বরকে যদি দয়া করেন এই ভেবে।
দুঃখিনী মায়ের দিন রাতের চোখের জল আর স্ত্রীর বুক ভরা হাহাকার, প্রশ্ন বারবার কেউ কি নেই তবে তাদের জন্য ?
প্রশ্ন বারবার করে কিন্তু উত্তর পায় না কোন বাড়েও ,আর চলছে সংগ্রাম, কাটছে দিন চোখের জলে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *