জমির ধান পুড়ে যাওয়ার ঘটনার প্রায় তিন মাস হতে চললেও এখনও ক্ষতিপূরণ পাননি কৃষক শীতল ঘোষ।।।

নিজস্ব সংবাদদাতা, বালুরঘাট, ২৭ ফেব্রুয়ারি: জমিতে তুলাইপাঞ্জি ধানের চাষ করছিলেন কৃষক। সেই আবাদি কৃষি জমির ফসল পুড়িয়ে দিয়েছিলেন সেই কৃষকেরই এক আত্মীয়। সেই ঘটনার কথা জানিয়ে থানা ও বিডিও দপ্তরে জানিয়েও সুরাহা মেলেনি। জমির ধান পুড়ে যাওয়ার ঘটনার প্রায় তিন মাস হতে চললেও এখনও ক্ষতিপূরণ পাননি কৃষক শীতল ঘোষ। অবশেষে প্রতিকারের আশায় সোমবার দুপুরে জেলা পুলিশ সুপারের দ্বারস্থ হলেন পতিরাম থানার বটুন এলাকার ওই কৃষক।

গত বছর নভেম্বর মাসের শেষে ওই কৃষকের জমিতে তারই এক আত্মীয় আগুন লাগিয়ে দেয় বলে অভিযোগ। আগে থেকেই অভিযুক্তের সঙ্গে শরিকী ঝামেলা চলছিল ওই কৃষকের। তুলাইপাঞ্জী ধানের জমিতে আগুন লাগার ঘটনা স্বচক্ষে দেখেন ওই কৃষকের কাকাতো ভাই। তিনি নেভানোর চেষ্টা করলেও তাতে সক্ষম হননি বলে অভিযোগকারী কৃষক এদিন জানান। পরে পতিরাম থানায় তিনি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন ও গত মাসে কুমারগঞ্জ ব্লকের বিডিওর কাছেও ঘটনার বিবরণ দিয়ে অভিযোগ জানান। কিন্তু এতকিছুর পরেও তার ধানের ক্ষতিপূরণ মেলেনি। প্রায় ৩০ হাজার টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে ওই কৃষক জানিয়েছেন। পাশাপাশি, এদিন অভিযুক্তের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার আবেদন জানিয়েছেন ওই কৃষক।

ক্ষতিগ্রস্ত কৃষক শীতল ঘোষ জানান, ‘আমার ২৪ শতক জমির ধান পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। এই ঘটনা পতিরাম থানায় লিখিতভাবে জানিয়েছিলাম। পুলিশ এসে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে যান। কিন্তু তারপরে আর কোনও পদক্ষেপ করেনি। তারপরে বিডিও অফিসেও বিষয়টি জানানো হয়েছে। কোনও সুরাহা মেলেনি। এতদিন পেরিয়ে গেলেও ক্ষতিপূরণেরও আশ্বাস পাইনি। তাই এদিন ক্ষতিপূরণসহ দোষীর শাস্তির দাবিতে পুলিশ সুপারের কাছে আবেদন করেছি।’

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *