অনিয়মের অভিযোগে সিল করা হল দোকান সহ তিনটি গোডাউন, সন্দেহজনক আরও তিনটি গোডাউন খুলতে বাধা আধিকারিকদের।

নিজস্ব সংবাদদাতা, মালদাঃ- — সারের দোকানে যৌথ অভিযান বিডিও ও কৃষি আধিকারিকের। একাধিক অনিয়মের অভিযোগে সিল করা হল দোকান সহ তিনটি গোডাউন। সন্দেহজনক আরও তিনটি গোডাউন খুলতে বাধা আধিকারিকদের। বন্ধ গোডাউনে কি ভেজাল সার ও কীটনাশক মজুদ রয়েছে ? সন্দেহ আধিকারিকদের। চাঞ্চল্য হরিশ্চন্দ্রপুরের কোরিয়ালি এলাকায়। অনিয়মের অভিযোগ ছিল এই দোকানের বিরুদ্ধে। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে বুধবার হরিশ্চন্দ্রপুর ২ ব্লকের কোরিয়ালি রাজেশ্বর মোড় এলাকায় মহম্মদ রাশেদ আলির সারের দোকান ও গোডাউনে হানা দেন হরিশ্চন্দ্রপুর ২ ব্লকের কৃষি আধিকারিক প্রভাত উৎপল আচার্য ও হরিশ্চন্দ্রপুর ২ ব্লকের বিডিও তাপস কুমার পাল। সঙ্গে ছিল ভালুকা ফাঁড়ির পুলিস। চার ঘণ্টা ধরে চলে তদন্ত। দোকান ও গোডাউনে পাওয়া যায় মেয়াদ উত্তীর্ণ সার ও পেস্টিসাইড। সংগ্রহ করা হয় নমুনা। তদন্তে আসে একাধিক বেনিয়ম।সরকারি নিয়ম মেনে সার বিক্রি হচ্ছে না এই দোকানে। পস মেশিনে এবং মজুদ করা সারের হিসেবে দেখা যায় অনেক গরমিল। আধার কার্ড ছাড়াই বিক্রি করা হচ্ছে সার। কৃষি আধিকারিক প্রভাত আচার্য বলেন, তদন্তে দেখা যায় গোডাউনে সারের গরমিল রয়েছে ও অনিয়ম ভাবে বিক্রি করা হচ্ছে সার। মেয়াদ উত্তীর্ণ সার ও পেস্টিসাইড পাওয়া যায়। তিনটি গোডাউনে তদন্ত করা হয়। লাইসেন্সের সঙ্গে গোডাউনগুলো মিলিয়ে দেখা হবে। আদৌ সেগুলো রেজিস্টার্ড কি না। এছাড়াও দুই তলা ছাদে আরও তিনটি গোডাউন রয়েছে। তবে তারা চাবি না দেওয়ায় সেগুলো খোলা সম্ভব হয়নি। ছাদের উপরে বহু পরিমানে পেস্টিসাইড রাখা রয়েছে। শোকজ করা হয়েছে দোকান মালিক কে। শোকজের সঠিক উত্তর না পাওয়া পর্যন্ত সিল থাকবে দোকান এবং গোডাউন। দোকান মালিকের ভাই জিয়াউল হক বলেন,পস মেশিনের সঙ্গে গোডাউনে মজুত সারের মিল না থাকার কারণে দোকান ও গোডাউন সিল করলেন আধিকারিকরা। মেয়াদ উত্তীর্ণ সার ও কীটনাশক গোডাউনে কয়েকটা থেকে গিয়েছিল। আর উপর তলায় বাড়ি রয়েছে। সেরকম কোনও গোডাউন নেই।
শোকজ করেছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *