বাজি যারা প্রস্তুত করত তাদের বৈধ লাইসেন্স ছিল কিনা খতিয়ে দেখা হবে, মঙ্গলবার ভবানী ভবনে রাজ্য পুলিশের আইজি দক্ষিণ বঙ্গ সুপ্রতিম সরকার সাংবাদিকদের একথা জানান।

পাথরপ্রতিমা, নিজস্ব সংবাদদাতা:- পাথরপ্রতিমাতে ঢোলারহাটে বাড়িতে কেন এত বাজি মজুদ ছিল সেটা পুলিশ তদন্ত করে দেখবে। মঙ্গলবার ভবানী ভবনে রাজ্য পুলিশের আইজি দক্ষিণ বঙ্গ সুপ্রতিম সরকার সাংবাদিকদের একথা জানান। তিনি বলেন বাজির ওই গুদামে গ্যাস সিলিন্ডারে বিস্ফোরণ ঘটেছে। মঙ্গলবাড়ী ঘটনাস্থলে গিয়ে নমুনা সংগ্রহ করবে ফরেনসিক টিম। এই বাজি যারা প্রস্তুত করত তাদের বৈধ লাইসেন্স ছিল কিনা তাও খতিয়ে দেখা হবে। পঞ্চায়েত থেকে স্থানীয়ভাবে কোন লাইসেন্স দিয়েছিল কিনা সে বিষয়টিও দেখা হবে। এই ঘটনায় ভারতীয় দণ্ডবিধির ২৮৭,২৮৮, ১০৫, ১১০, ১২৫ বিএনএস ২৪-২৪ ফায়ার সার্ভিস কন্ট্রোল একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। রাজ্য পুলিশের আইজিএস দক্ষিণ বঙ্গ সুপ্রতিম সরকার জানান পাথরপ্রতিমার ঘটনা প্রমাণ করছে যে এখনো সচেতনতার অভাব রয়েছে। পুলিশ প্রশাসন বাজি প্রস্তুতকারক সংস্থাগুলি সঙ্গে ফের আলোচনায় বসবে বলে জানান তিনি। নিরাপদ মজুদ স্থান চিহ্নিত করা হবে বলে জানান তিনি। মানুষের জনবসতি নেই এমন জায়গায় বাজি মজুদ করতে হবে ।আর এ নিয়ে যারা বাজি তৈরি করে তাদের সঙ্গে বৈঠকে বসবে পুলিশ প্রশাসন। ওখানে যদি অন্য কোন বোমা বারুদ পাওয়া যায় সেটাও খতিয়ে দেখা হবে। কোথা থেকে এই বারুদ আসছে সেই উৎসস্থল খুঁজে বের করা হবে। ইতিমধ্যে পাথরপ্রতিমাতে বেআইনি বাজি মজুদ গুদামে বিস্ফোরণ ও অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ৮।বাড়ি থেকে ঢিল ছোড়া দূরত্বে বাঁশ বাগানে আতশবাজি তৈরির বারুদ মজুদ রয়েছে ।স্তরে স্তরে সাজানো রয়েছে। এমনই দৃশ্য মঙ্গলবার সকালে ধরা পড়ে।
পুকুরে পড়ে রয়েছে বারুদ, গ্যাস সিলিন্ডার, এবং বিভিন্ন বাজি।
প্রশ্ন উঠছে যে বাড়িতে আগুন লেগে ৮ জন মারা গেল, তাছাড়াও বাঁশ বাগানের বাজি তৈরির কারখানা। কতদিন ধরে এই বেআইনি বাজি তৈরির কারখানা চলছিল, তা জানতেই তদন্ত শুরু করেছে প্রশাসন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *