পূর্ব মেদিনীপুর, নিজস্ব সংবাদদাতাঃ- ছোটবেলা থেকেই স্বপ্ন ছিল বড় হয়ে একজন বড় শিল্পী হবে।
পূর্ব মেদিনীপুরের ভগবানপুরের বেঁউদিয়া গ্রামের ছোট্ট টালি দিয়ে ঘেরা বাড়ি। এখানেই বাবা মা এর হাত ধরে ছোটবেলা থেকে পড়াশোনা তাঁর। স্কুল জীবনে পড়াশোনার ফাঁকেও স্কুলের শিক্ষকরা গোল টেবিল করে বসে তাঁর গান শুনতেন। পূর্ব মেদিনীপুরের ভগবানপুরের বেঁউদিয়া গ্রামের সাধারন পরিবারের ছেলে সুজন মেটিয়া।সুজনের বাবা জয়দেব মেটিয়া একসময় যাত্রা থিয়েটার করতেন , এমনকি স্ক্রিপ্ট লিখতেন তিনি। ছোট থেকেই বাবাকে দেখেই উদ্বুদ্ধ হয় ছেলে সুজন। তবে কোনো যাত্রাপথ থিয়েটার নয় ছোটবেলা থেকেই সে গানকে খুব ভালোবাসতো। বিভিন্ন গানের প্রতি ঝোঁক ছিল তার। তখনকার দিনে রেডিওতে বেতারে গান হলে মন দিয়ে শুনত সে। সেখান থেকেই তার গান শেখা, কিন্তু কোনদিন কোন শিক্ষাগুরুর সান্নিধ্য পায়নি সুজন। নিজেই নিজেকে তৈরি করত নিজের মত করে, আর সেভাবে তিল তিল করে নিজের গানের সত্তাকে বজায় রেখেছে সুজন মেটিয়া। আজ ফাঁকা সময় পেলেই গ্রামের বাড়িতে ফাঁকা মাঠের ধারে গাছের তলায় বসে ডাইরি কলম হাতে নিয়ে গান লিখতে বসে পড়ে। নিজের মন থেকেই বিভিন্ন ধরনের গান রচনা করে গ্রামের ছেলে সুজন। তার বয়স যখন কম ছিল সেই সময় তার বাবাকে হারায় সে, কিন্তু গানকে ভোলেনি আজও। নিজেই নিজের মতো করে সুর ধরে তার কন্ঠে। আবার ভাবুক মনে নির্জনে বসে গানের কথা লেখে সে নিজেই।
তাঁর স্বপ্ন সঙ্গীত জগতে শিল্পীসত্ত্বার আলোর পথ ধরেই জীবনে বড় নামকরা শিল্পী হতে চায় গ্রামের ছেলে সুজন।
তবে জীবন চালাতে গেলে টাকা অবশ্যই প্রয়োজন কিন্তু তার মধ্যেও নিজেকে ভালো রাখাটাই মূল লক্ষ্য তার তাই গানকে ভালোবেসেই এগিয়ে যাওয়া জীবনে।
সঙ্গীত জগতে শিল্পীসত্ত্বার আলোর পথ ধরেই জীবনে বড় নামকরা শিল্পী হতে চায় গ্রামের ছেলে সুজন।

Leave a Reply