পূর্ব বর্ধমান, নিজস্ব সংবাদদাতা:- আহমদপুর জংশন ও কাটোয়া জংশন রেলরুটে ট্রেনের সংখ্যা বৃদ্ধি সহ বিভিন্ন দাবি দাওয়া জানানো হয় একাধিক নিত্যযাত্রী ও সামাজিক সংগঠনের পক্ষ থেকে।
উল্লেখ্য, বৃহস্পতিবার সকালে ইস্টার্ন-রেলওয়ের জেনারেল ম্যানেজার প্রথমে পূর্ব-বর্ধমান জেলার কাটোয়া জংশনে আসেন, সেখানে তিনি রেলের বিভিন্ন বিষয় ক্ষতিয়ে দেখেন। এদিকে জেনারেল ম্যানেজার আসার খবর পেয়ে কীর্ণাহার, জ্ঞানদাস কান্দরা, পাঁচুন্দি, সহ কাটোয়া এলাকার বেশ কিছু সাধারণ মানুষজনেরা রেলের ওই উচ্চ-পদস্থ আধিকারিকের সাথে দেখা করেন। আহমদপুর-কাটোয়া
ও কাটোয়া-হাওড়া রুটে রেলের সংখ্যা বৃদ্ধি সহ বিভিন্ন দাবি দাওয়া জানান। এর পরেই ঐ রেলের উচ্চপদস্থ আধিকারিকগন মুর্শিদাবাদ জেলার আজিমগঞ্জ হয়ে দুপুরে বীরভূম জোলার নলহাটি স্টেশনে যান, সেখান থেকে সাঁইথিয়া হয়ে বিকেল নাগাদ আহমদপুর জংশনের পাঁচ নাম্বার প্লাটফর্মে আসেন। সংশ্লিষ্ট স্টেশন চত্বরে প্রবেশ করতেই আহমদপুর, বোলপুর, লাভপুর ও কীর্ণাহার এলাকার বেশ কিছু নিত্যযাত্রী ও সামাজিক সংগঠনের পক্ষ থেকে জেনারেল ম্যানেজারকে উত্তরীয় ও পুষ্প স্তবক দিয়ে বরণ করে স্বাগত জানান। এরপর আহমদপুর জংশনে রেল আধিকারিকদের সাথে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা করার পর সংগঠন গুলির বিভিন্ন অভিযোগ ও দাবির কথা শোনেন তিনি।আহমদপুর জংশন স্টেশনে দাবিদাওয়া জানাতে ও স্মারকলিপি জমা দিতে হাজির ছিলেন, আমোদপুর নাগরিক-মঞ্চ, আহমদপুর-কাটোয়া তারাশঙ্কর প্যাসেঞ্জার্স ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশন, আহমদপুর ও কাটোয়া রেলওয়ে প্যাসেঞ্জার অ্যাসোসিয়েশন সহ বিভিন্ন সংগঠনের প্রতিনিধিরা। এদিকে সংবাদ মাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে খোদ ইস্টার্ন রেলওয়ের জেনারেল ম্যানেজার জানান,’অভিযোগ ও দাবিদাওয়াগুলো খতিয়ে দেখা হবে।’ তবে আহমদপুর জংশন প্রধান স্টেশনের সাথে আহমদপুর-কাটোয়া রুটের স্টেশনের দুরত্ব নিয়ে তিনি বলেন, প্রথমে যখন রেল রুট তৈরি হয়েছে তখন ম্যাপ দেখেই করা হয়েছে, আপাতত নতুন করে কিছু করা হয়তো সম্ভব হবে না, তবুও যাত্রীদের সমস্যার কথা মাথায় রেখে, সমস্যাটি খতিয়ে দেখার আশ্বাস দেন তিনি। এছাড়াও টিকিট কাউন্টারের জন্য স্বয়ংক্রিয় মেশিন লাগানোর কথা বলেন এবং মোবাইল-এ্যাপের মাধ্যমে যাত্রীদের টিকিট কাটার পরামর্শ দেন তিনি।
আহমদপুর রেলস্টেশন পরিদর্শন করলেন ইস্টার্ন রেলওয়ের জেনারেল ম্যানেজার শ্রী মিলিন্দ দেউসকার।

Leave a Reply