নিজস্ব সংবাদদাতা, মালদা—হরিশ্চন্দ্রপুরে সুদের টাকা চাওয়াকে কেন্দ্র করে বিবাদ। চায়ের দোকানে ধারালো অস্ত্র দিয়ে রক্তাক্ত করে দেওয়ার অভিযোগ। চারদিন ধরে হাসপাতালে মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছেন জখম ব্যক্তি। থানায় অভিযোগ দায়ের হওয়া সত্ত্বেও ঘুরে বেড়াচ্ছেন অভিযুক্ত বলে অভিযোগ। পুলিসের প্রতি ক্ষোভ আহত ব্যক্তির পরিবারের। পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, জখম ব্যক্তির নাম কাবুল আলি(৪৬)। তার বাড়ি হরিশ্চন্দ্রপুর ১ ব্লকের মহেন্দ্রপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের বাগমারা গ্রামে। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, পাঁচ বছর আগে ওই গ্রামের বাসিন্দা নাজিমুদ্দিন এর কাছ থেকে ১০ হাজার টাকা সুদে নিয়েছিলেন কাবুল। ১০ মাস কিস্তি দেওয়ার পর বাইরে চলে যায় সে। টাকা দিতে অস্বীকার করেন বলে অভিযোগ। এই নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে বিবাদ চলছিল। রবিবার সকালে কাবুল দিল্লি থেকে বাড়ি ফিরেন। সন্ধ্যায় গ্রামে চায়ের দোকানে চা পান করতে গেলে নাজিমুদ্দিন তার কাছে টাকা দাবি করেন। দুই পক্ষের মধ্যে গন্ডগোল হয়। সে সময় ধারালো অস্ত্র দিয়ে কাবুলকে আঘাত করেন। তার মাথা ফেটে যায়। পরিবারের লোকেরা তড়িঘড়ি হরিশ্চন্দ্রপুর গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক আশঙ্কাজনক অবস্থায় চাঁচল সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখান চারদিন ধরে চিকিৎসা চলছে। মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছে। আহত ব্যক্তির দাদা রাজেশ আলি বলেন,টাকা চাওয়াটা বাহানা। পুরনো শত্রুতার জেরে ভাইকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে জখম করেছে। প্রাণ নেওয়ার চেষ্টা চালিয়েছিল। হাসপাতালে মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছে। থানায় অভিযোগ দায়ের করেছি। পুলিস কোনও ব্যবস্থা নিচ্ছেন না । অভিযুক্ত ঘুরে বেড়াচ্ছে। পরিবারকে মারধরের হুমকি দিচ্ছে। আমরা আতঙ্কে আছি। অভিযুক্তের স্ত্রী সাইরা বানু বলেন, সুদের টাকা চাওয়াকে কেন্দ্র করে মারামারি হয়েছে। সুদেমুলে ৬০ হাজার টাকা পাচ্ছিল স্বামী। দীর্ঘ পাঁচ বছর ধরে টাকা দিতে টালবাহানা করছিল। এই নিয়ে এদিন গন্ডগোল হয়।তাকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে মারধর করা হয়নি। মোবাইলের আঘাতে মাথা ফেটেছে। পরিবারের লোককে হুমকি দেওয়ার অভিযোগে একেবারে ভিত্তিহীন। হরিশ্চন্দ্রপুর থানার আইসি মনোজিৎ সরকার বলেন, নিদির্ষ্ট ধারায় মামলা রুজু হয়েছে। অভিযুক্ত পলাতক রয়েছে। তার খোঁজে তল্লাশি চলছে।
ধারালো অস্ত্র দিয়ে রক্তাক্ত করে দেওয়ার অভিযোগ, চারদিন ধরে হাসপাতালে মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছেন জখম ব্যক্তি।

Leave a Reply