নিজস্ব সংবাদদাতা, আলিপুরদুয়ার:- নুন আনতে পান্তা ফুরানোর সংসারে সামান্য আয়ের জন্য চড়কের খেলা দেখাতে গিয়ে দুর্ঘটনার কবলে পড়েছেন ফালাকাটা ব্লকের গুয়াবরনগর গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রমোদ নগরের বাসিন্দা পরিতোষ রায় (৪২)। তাঁর দুটি কলার বোন ভেঙে চুরমার হয়ে গিয়েছে। জানা গিয়েছে, গত ১৪ এপ্রিল জলপাইগুড়ির বেলাকোবায় চড়কের খেলা দেখানোর সময় আচমকাই দড়ি ছিঁড়ে মাটিতে আছড়ে পড়েন পরিতোষ। পরে এক্স-রেতে ধরা পড়ে যে তাঁর দুটি কলার বোন ভেঙে গিয়েছে। ওই অবস্থাতে বাড়ি ফিরে আসার পর ওই ব্যক্তির স্ত্রী বনবাসী রায় বর্মন তাঁকে নিয়ে আলিপুরদুয়ার জেলা হাসপাতাল ও কোচবিহার মেডিকেল কলেজে ছোটাছুটি করেও কোনো চিকিৎসা পরিষেবা পাননি বলে অভিযোগ। ওই অবস্থায় পরিবারের একমাত্র রেজগেরে সদস্য বিছানায় পড়ে যাওয়াতে বিপাকে পড়েছে গোটা পরিবারটি। বর্তমানে টাকার অভাবে চিকিৎসা করাতে পারছেন না পরিতোষ রায়। তাঁর স্ত্রী বনবাসী রায় বর্মন জানান, “বাড়িতে যা সামান্য সঞ্চিত টাকা ছিলো তা আলিপুরদুয়ার ও কোচবিহারে দৌড়তে গিয়েই শেষ হয়ে গিয়েছে। আমার স্বামীই একমাত্র রোজগার করতেন। দুটি সন্তানকে নিয়ে অথৈ জলে পড়ে গিয়েছি।আমরা দিন আনি দিন খাই। চিকিৎসা করানোর মতো আর্থিক ক্ষমতা আমার নেই। সপ্তাহখানেক ধরে বাড়িতে পরে আছেন। কি করবো ভেবে পাচ্ছি না।কেউ যদি সামান্য সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিতেন তবে আমরা বিপদ থেকে উদ্ধার পেতাম।”
চড়কের খেলা দেখাতে গিয়ে দুর্ঘটনায় দুটি কলার বোন ভেঙে চুরমার, টাকার অভাবে চিকিৎসা করাতে না পেরে সাহায্যের আবেদন স্ত্রী ও পরিবারের।

Leave a Reply