প্যানক্রিয়াসের জটিল রোগে সুস্থতা, শান্তনু দাসের হোমিও চিকিৎসায় নতুন আশার আলো।

বালুরঘাট, দক্ষিণ দিনাজপুর, নিজস্ব সংবাদদাতাঃ- কলকাতার নামী হাসপাতাল ও বহু অভিজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়েও যখন নিরাশ হয়ে পড়েছিলেন দক্ষিন দিনাজপুর জেলার পতিরাম থানার পাগলি গঞ্জ এর পেশায় ধান পাটের ব্যবসায়ী সুব্রত সমাজদার তার বছর ১৭ র সৌমাল্য কে নিয়ে, যে দুরারোগ্য প্যানক্রিয়াসের সমস্যায় ছোটবেলা থেকেই ভুগছিল। সুব্রত বাবু ছেলেকে নিয়ে কলকাতা, চেন্নাই, হায়দারাবাদ সহ বিভিন্ন জায়গায় চিকিৎসকদের পরামর্শ মত চিকিৎসা করিয়েছেন কিন্তু কোন জায়গায় তিনি আসানুরূপ ফল পাননি অর্থাৎ তার ছেলে সুস্থ হয়নি। যখন সুব্রত বাবু ছেলে আর ভালো হবে না বলে আশা প্রায় ছেড়ে দিয়েছিলেন তখনই তার জীবনে হতাশার মধ্যে আলো দেখান বালুরঘাতের হোমিওপ্যাথি চিকিৎসক শান্তনু দাস। স্থানীয় বন্ধুর পরামর্শে তিনি শান্তনুবাবুর কাছে তার ছেলেকে চিকিৎসা করানোর জন্য প্রায় আট মাস আগে গিয়েছিলেন। অবশেষে দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার বালুরঘাট শহরের পরিচিত হোমিও চিকিৎসক শান্তনু দাস-এর সঠিক ও নিয়মিত চিকিৎসায় সুস্থ হয়ে উঠেছে সৌমাল্য।

নিয়মিত পেটের ব্যথা, হজমের গোলমাল, ওজন হ্রাসের মতো উপসর্গ তাকে দুর্বিষহ জীবনে ঠেলে দিয়েছিল। কলকাতার বেশ কয়েকটি নামকরা হাসপাতালে মাসের পর মাস চিকিৎসা চললেও তেমন কোনও উন্নতি দেখা যায়নি।

এ প্রসঙ্গে সুব্রত বাবুর স্ত্রী জানান, “আমরা প্রায় হাল ছেড়ে দিয়েছিলাম। পরে পরিচিতদের কাছ থেকে শান্তনু দাসের নাম শুনে বালুরঘাটে যোগাযোগ করি। উনি অত্যন্ত মনোযোগ দিয়ে সমস্ত রোগের ইতিহাস শুনে ওষুধ দেন। মাত্র কয়েক মাসের মধ্যেই সৌমাল্যের অবস্থার নাটকীয় পরিবর্তন ঘটে। এখন ও পুরোপুরি সুস্থ।”

চিকিৎসক শান্তনু দাস বলেন, “সৌমাল্যর কেসটি একটু জটিল ছিল, তবে নিয়ম মেনে ওষুধ ও জীবনযাত্রার পরিবর্তন করে চলার ফলে সে সুস্থ হয়ে উঠেছে। হোমিওপ্যাথিতে সময় লাগে, কিন্তু সঠিকভাবে প্রয়োগ করলে অনেক সময় আশাতীত ফল মেলে।”

এই ঘটনা শুধু রোগীর পরিবার নয়, অনেক সাধারণ মানুষের মধ্যেও হোমিওপ্যাথির প্রতি নতুন করে আস্থা ফিরিয়ে আনছে। দক্ষিণ দিনাজপুরের মতো জেলার চিকিৎসা পরিষেবার মান যে কতটা উন্নত হতে পারে, তারও এক বাস্তব প্রমাণ সৌমাল্য সমাজদারের এই আরোগ্য।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *